হোয়াইট হাউস মুখপাত্র স্পাইসারের পদত্যাগ, বিস্মিত সহকর্মীরা

হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র, প্রেস সেক্রেটারি শন স্পাইসার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন নতুন যোগাযোগ পরিচালক নিয়োগ দেয়ার পরপরই তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। নিউ ইয়র্ক টাইমস বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে লিখেছে, ব্যবসায়ী অ্যান্থনি স্কারামুচিকে এই পদে নিয়োগ দেয়া নাখোশ হয়ে তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সহকর্মীরা  স্পাইসারের পদত্যাগে সিএনএন-এর কাছে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।


ট্রাম্পকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানিয়ে বিদায় নিচ্ছেন স্পাইসার

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ এবং ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের সঙ্গে রাশিয়ার যোগসাজশের অভিযোগ নিয়ে হোয়াইট হাউজ এখন তদন্তের ‍মুখে। ঠিক সেই সময়ে প্রেসিডেন্টের যোগাযোগ শিবিরে এ রদবদল ঘটল। রুশ-মার্কিন সম্পর্ক বিষয়ক  একের পর এক সৃষ্ট প্রশ্নে হোয়াইট হাউজের প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি তিনিই তদারক করতেন।

হোয়াইট হাউজে মেয়াদের বেশির ভাগ সময় প্রেস সেক্রেটারি এবং যোগাযোগ পরিচালক- দুই দায়িত্বই পালন করেছেন স্পাইসার। তার পদত্যাগের  ‘বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল’ এক কর্মকতার বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখেছে, ট্রাম্প তার দীর্ঘদিনের সমর্থক, ওয়াল স্ট্রিটের অর্থ যোগানদাতা এন্থনি স্কারামুচিকে নতুন যোগাযোগ পরিচালক হিসাবে নিয়োগ দেওয়ায় নাখোশ হয়েছেন হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি স্পাইসার।

নিউ ইয়র্ক টাইমস বলেছে, ৪৫ বছর বয়সী স্পাইসার শীর্ষ ওই পদটিতে স্কারামুচিকে নিয়োগের ঘোরবিরোধী ছিলেন। এ নিয়োগকে তিনি ‘বড় ধরনের ভুল’ বলে মনে করেন। তার আকস্মিক পদত্যাগে হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিস্মিত হয়েছেন বলে সিএনএন কে জানিয়েছেন দুই কর্মকর্তা।স্পাইসারের ঘনিষ্ঠ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই  স্কারামুচির নিয়োগ নিয়ে কানাঘুষা চলছিল। কিন্তু স্পাইসারসহ হোয়াইট হাউজের আরও দুজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তখনও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কিছুই জানতে পারেননি।

গত জানুয়ারি মাসে দায়িত্ব নেবার পর নানা কারণেই আলোচনায় ছিলেন স্পাইসার। বিশেষ করে, সংবাদ সম্মেলনগুলোতে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তার বাক্যবাণ ও কটাক্ষ নিয়ে সবসময়ই সমালোচনা হয়েছে। তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে তাকে তার এতদিনের কাজের জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

/বিএ/