তোপের মুখে আল-আকসা থেকে মেটাল ডিটেক্টর সরাচ্ছে ইসরায়েল

 

ফিলিস্তিনিদের আন্দোলন ও বৈশ্বিক চাপের মুখে জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ থেকে মেটাল ডিটেক্টর সরিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েল। এছাড়া ফিলিস্তিনিদের প্রতি আগের কঠোর অবস্থান থেকেও সরে এসেছে তারা। মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর নিরাপত্তা পরিষদ মঙ্গলবার সকালে এই সিদ্ধান্ত নেয়।

_97067494_da295c65-0c10-4376-9319-c8c0f28ce082

পূর্ব জেরুজালেমের পবিত্র এই স্থানটি মুসলিমদের কাছে হারাম আল শরিফ এবং ইহুদিদের কাছে টেম্পল মাউন্ট নামে পরিচিত। সেখানে ঢোকার মুল পথে দুজন পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুকে ঘিরে মেটাল ডিটেক্টরের মতো নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করা হয়। যা ফিলিস্তিনিদের ক্ষুব্ধ করে তোলে। এই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিমতীর পর্যন্ত। আন্দোলনে নামে অনেক ফিলিস্তিনি। তাদের সমর্থন জানায় সুদান, জর্ডান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইন্দোনেশিয়ার মতো অনেক দেশের মুসলিমরা। এই পটভূমিতে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিলো।

নেতানিয়াহুর দফতর থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মেটাল ডিটেক্টর সরানোর প্রস্তাব তারা মেনে নিয়েছেন। ডিটেক্টরসহ অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা শিথিল করা হবে।’

এর কয়েক ঘণ্টা কয়েক আগে জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত, নিকোলাই ম্লাদেসনভ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন জেরুজালেমের পবিত্র ধর্মীয় স্থান নিয়ে দ্বন্দ্ব শিথিল না হলে তা এই প্রাচীন শহর ছাড়িয়ে আরো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তিনি বলেন, ‘কারোই ভুল করে ভাবা উচিত হবে না যে, এটি শুধুমাত্র একটি স্থানীয় সমস্যা। যদিও এটি মাত্র কয়েক'শ বর্গমিটারের মধ্যে ঘটছে, তবে এর প্রভাব পড়ছে সারাবিশ্বের কোটি-কোটি মানুষের ওপর। এর সর্বনাশা প্রভাব প্রাচীন শহরের দেয়াল ছাড়িয়ে, ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন, এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের সীমানা ছাড়িয়ে আরো অনেকদূর যেতে পারে।’

/এমএইচ/