ভারতের ১৪তম রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের শপথ

ভারতের ১৪ তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন রাম নাথ কোবিন্দ। কে আর নারায়ণনের পর ভারতের দ্বিতীয় দলিত রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) শপথ গ্রহণ করেন। ভারতের পার্লামেন্টের সেন্ট্রাল হলে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি জে এস খেহর।

রামনাথ কোবিন্দ
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দ জানায়, মঙ্গলবার বিদায়ী রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে সেন্ট্রাল হলে আসেন নতুন রাষ্ট্রপতি। তারপর প্রণবের সঙ্গে হয় তার আসন বিনিময়। নতুন রাষ্ট্রপতির সম্মানে ২১ বার কামান দাগা হয়।

অনুষ্ঠানে উপ রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও লোকসভা অধ্যক্ষ সুমিত্রা মহাজন ছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা, বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্যপালরা, মুখ্যমন্ত্রীগণ ও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সাংসদ, আমলা ও সেনা কর্মকর্তাদের উপস্থিতিও ছিল। নতুন রাষ্ট্রপতির পরিবারের ৮ সদস্যও যোগ দেন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে।

আরেক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, শপথগ্রহণের পর ভাষণ দেন কোবিন্দ। রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেওয়া প্রথম ভাষণে রাম নাথ কোবিন্দ বলেন, ‘বৈচিত্র্যের সম্মিলনই ভারতের সাফল্যের চাবিকাঠি।’

প্রণব মুখার্জির বিদায়ী ভাষণকে প্রতিধ্বনিত করে নতুন রাষ্ট্রপতি বলেন, “আমরা ব্যাপক বৈচিত্র্যের দেশ, তবুও আমরা দেখিয়েছি একতাই হলো সামনে এগিয়ে চলার উপায়। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ জাতি এবং এখন আমরা এমন এক পর্যায়ে আছি যেখান থেকে দেশকে আরও এগিয়ে নিতে হবে। আমরা আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়ে গর্বিত। বিশ্বকে ভারতের সক্ষমতা দেখানোর সময় এখন।”

অনুষ্ঠান শেষ হলে নতুন রাষ্ট্রপতি যাত্রা করেন রাষ্ট্রপতি ভবনের উদ্দেশে। সেখানে তাকে দেওয়া হয় গার্ড অফ অনার। এরপর সদ্য প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি যাত্রা করেন তার নতুন ঠিকানা- ১০, রাজাজি মার্গের দিকে।

উত্তর প্রদেশের অতি সাধারণ এক দলিত পরিবারে বেড়ে উঠা রামনাথের অনেক সহপাঠী স্কুলের গণ্ডিও পেরুতে পারেননি। তবে হাল ছাড়েননি রামনাথ। কানপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশনের পর আইন পাসের পর দিল্লি গিয়ে শুরু করলেন প্র্যাকটিস। এক পর্যায়ে বিজেপি’র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। দুই মেয়াদে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৮-২০০২ সাল পর্যন্ত বিজেপি’র দলিত মোর্চার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। অখিল ভারত কোলি সমাজের সভাপতি ছিলেন। ২০১৫ সালের ৮ আগস্ট তখনকার রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি তাকে বিহারের রাজ্যপাল নিয়োগ করেন।

/এফইউ/