শাহবাজ প্রধানমন্ত্রিত্ব পাওয়ার আগ পর্যন্ত পাকিস্তান কে চালাবে?

পাকিস্তানের শীর্ষ সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর থেকে এরইমধ্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে, সম্ভাব্য পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকেই বেছে নিতে যাচ্ছে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএলএন-নওয়াজ)। তবে তার প্রধানমন্ত্রিত্বের আগে সাংবিধানিক রীতি মেনে অন্তত ৪৫ দিনের জন্য একজন অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করতে হবে।  অন্তবর্তীকালে কে দায়িত্ব পালন করবেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এই পদে তিন মন্ত্রী  এবং জাতীয় পরিষদের স্পিকারের নাম জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে।
noname

দেশটির সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার এক আদেশে বলেছে, পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সততা আবশ্যক। অসৎ প্রক্রিয়ায় সম্পদের তথ্য গোপন করার কারণে তিনি এখন পার্লামেন্ট সদস্য থাকার ‘যোগ্য’ নন। সুপ্রিম কোর্টের আদেশের কিছুক্ষণ পরেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন নওয়াজ।

এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবর থেকে জানা গেছে, শাহবাজ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার আগে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী পদে কাকে নিয়োগ দেয়া হবে তা নিয়ে শনিবার ইসলামাবাদে বৈঠক করবে ক্ষমতাসীন পিএমএল-এন। দায়িত্ব পাওয়ার পর অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী কমপক্ষে ৪৫ দিন দায়িত্ব পালন করবেন। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে শাহবাজ শরীফকে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য সুপারিশ করা হবে এবং তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে অনুমোদন পাবেন।

সম্ভাব্য অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর তালিকায় নাম এসেছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক, পরিকল্পনা ও উন্নয়নমন্ত্রী আহসান ইকবাল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নিসার আলী খানের। এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের আশঙ্কা এদের মধ্যে বিতর্কিত খাজা আসিফ এবং আহসান ইকবালকে নিয়ে বিপাকে পড়তে পারে নওয়াজের দল। তবে ট্রিবিউনের আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে সংসদীয় দলের একটি সূত্র। 

‘আমরা এসব নিয়ে ভাবছি না। দলের পরিস্থিতি বিবেচনায় যোগ্যজনকে বেছে নেওয়াটাই কাজ। কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতি কিংবা এমন অভিযোগ থাকলে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়া হবে।’ সংসদীয় দলের এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে ট্রিবিউন।

পার্টির অভ্যন্তরীণ সূত্রকে উদ্ধৃত করে এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, নওয়াজের দুর্নীতি মামলার পর থেকেই মুসলিম লীগের সঙ্গে দেশের নিরাপত্তা-প্রতিষ্ঠানগুলোর সুসম্পর্ক নাই। এই প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে সরব থাকা আহসান ইকবাল কিংবা নিসার আলী খানকে অন্তবর্তী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ার চিন্তা করছে নওয়াজের দল। ওই সূত্র ট্রিবিউনকে বলছে, অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এদের কাউকে নিয়োগ দিলে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানকে বার্তা দেওয়া হবে যে: নওয়াজ শরিফ তাদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা করছে না।

দীর্ঘদিন ধরে কন্যা মারিয়াম নওয়াজ শরিফকে নিজের রাজনৈতিক উত্তরসূরী হিসেবে প্রস্তুত করছিলেন নওয়াজ। তবে মারিয়াম নির্বাচিত এমপি না হওয়ায় এই মুহূর্তে তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ নেই।

/বিএ/