বিদেশের মাটিতে প্রথম সামরিক ঘাঁটি চীনের

nonameপ্রথমবারের মতো বিদেশের মাটিতে সামরিক ঘাঁটি চালু করেছে চীন। মঙ্গলবার চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মির ৯০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে আফ্রিকার দেশ জিবুতিতে ঘাঁটিটি উদ্বোধন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দুই দেশের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারাসহ তিন শতাধিক মানুষ অংশ নেন।

উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার এ মুসলিম দেশটি কৌশলগত দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জিবুতি বাব এল মান্দেব প্রণালীর তীরে, লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরের সংযোগস্থলে অবস্থিত। দেশটি ভারত মহাসাগর ও ভূমধ্যসাগরকে সংযোগকারী বাণিজ্যপথগুলোর সংযোগস্থল। এছাড়া এটি আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যেরও একটি সংযোগস্থল। ফলে এই দেশটি বহুকাল ধরেই বিভিন্ন সংস্কৃতি ও বাণিজ্যের মিলনস্থলে পরিণত হয়েছে। সামরিক ঘাঁটি তৈরির জন্য তাই গুরুত্বপূর্ণ এ দেশটিকেই বেছে নিয়েছে চীন। তবে এটাকে সরাসরি সামরিক ঘাঁটি বলতে রাজি নয় বেইজিং। দেশটি বলছে, প্রকৃতপক্ষে এটা জিবুতিতে চীনের একটি ‘সরবরাহ স্থাপনা’। তবে বাস্তবে বিদেশের মাটিতে এটাই চীনের প্রথম নৌঘাঁটি। ২০১৬ সাল থেকেই এ ঘাঁটি নির্মাণ শুরু করে বেইজিং।

জিবুতিতে সামরিক সুরক্ষা দেওয়ার বাইরে এ ঘাঁটির মাধ্যমে চীন নানাভাবে লাভবান হবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যৌথ মহড়ার মতো সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে এ ঘাঁটি চীনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া এর ফলে সাগরে চীনা স্বার্থ সংরক্ষণের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথের নিরাপত্তায় বেইজিং-এর সমন্বিতভাবে কাজ করার বিষয়টি আরও সহজ হবে। তবে সমুদ্রপথে চীনের এমন প্রভাব বৃদ্ধি নিশ্চিতভাবেই দেশটির প্রতিবেশী ভারতকে অস্বস্তিতে ফেলবে।

ভারতের আশঙ্কা, এ নৌঘাঁটিকে কেন্দ্র করে ওই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার করবে চীন; যা ভারতের স্বার্থের জন্য অনুকূল নয়। সূত্র: রয়টার্স, আল জাজিরা।

/এমপি/