সহসা আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে নারাজ ট্রাম্প

আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করতে রাজি নন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আশঙ্কা, সময়সীমা অক্ষুণ্ন রাখতে গিয়ে বিজয় নিশ্চিত হওয়ার আগেই যদি আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার করা হয় তবে সেখানে শূণ্যতা তৈরি হবে; আর সেটি পূরণ করবে সন্ত্রাসীরা। ট্রাম্প জানান, কিছু শর্তের ভিত্তিতে তারা আফগানিস্তান ইস্যুতে কৌশল নির্ধারণ করবেন, তবে সেনা সরিয়ে নেওয়ার কোনও সময়সীমা ঘোষণা করা হবে না। সোমবার (২১ আগস্ট) ফোর্ট মাইয়ার সেনা ঘাঁটি থেকে টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে আফগানিস্তানে অনির্দিষ্টকালের জন্য মার্কিন সেনা রেখে দেওয়ার ইঙ্গিত দেন ট্রাম্প।

ডোনাল্ড ট্রাম্প
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, নাইন ইলেভেনের হামলার পর ২০০১ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের নির্দেশে আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযান শুরু হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানে তালেবানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ অভিযান শেষ হয় ২০১৪ সালে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনী এখনও আফগান সেনাদের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। আফগানিস্তানে এখনও প্রায় ৮,৪০০ সেনা মোতায়েন রয়েছে। অতীতে ট্রাম্পকে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পক্ষে কথা বলতে দেখা গেলেও এখন এ প্রশ্নে সুর পাল্টেছেন তিনি। সোমবার এ কথা স্বীকারও করেছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, তার প্রাথমিক ইচ্ছা ছিল আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী পুরোপুরি সরিয়ে নেওয়া। কিন্তু পরে ‘ইরাক থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার মতো ভুল’ না করার সিদ্ধান্ত নেন এবং আফগানিস্তানে তালেবানের বিরুদ্ধে জয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

‘আমেরিকা আফগান সরকারের সঙ্গেকার প্রতিশ্রুতি পূরণ এবং অগ্রগতি না হওয়া পর্যন্ত কাজ করে যাবে।’ দেশটিতে নতুন করে সেনা পাঠানোর ঘোষণাও দিয়েছেন ট্রাম্প।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনা ঘাঁটিতে দেওয়া এই বক্তব্যে খুব বড় ঘোষণা আসবে বলা হলেও, আফগানিস্তানে মার্কিন কৌশলের বিস্তারিত কী হবে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি। 

/এফইউ/