ভারতে মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি পেল ‘ব্যক্তিগত গোপনীয়তা’

‘ব্যক্তিগত গোপনীয়তা’কে মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি দিয়েছে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। এক ঐতিহাসিক রায়ে এই সিদ্ধান্ত দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জগদীশ সিংহের খেহরের নেতৃত্বে নয় সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বেঞ্চের সব সদস্যের সম্মতিক্রমে এই রায় ঘোষিত হয়েছে।
ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট

১৯৫৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের আট সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে এম পি শর্মা মামলায় রায় দিয়েছিল, ব্যক্তিগত গোপনতা মৌলিক অধিকার নয়। ১৯৬২ সালে খরক সিংহ মামলায় একই রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের ছয় সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ। বিজেপি নেত্বত্বাধীন এনডিএ জোট সরকারের দাবিও ছিল একই রকমের। তাদেরও অভিমত, সংবিধান গোপনীয়তাকে মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি দেয়নি। তবে বৃহস্পতিবার ভারতের সর্বোচ্চ আদালত যুগান্তকারী রায় ঘোষণা করে।

ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের বৃহস্পতিবারের রায়ে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার প্রশ্নে একই আদালতের পূর্ববর্তী দুইটি রায় বাতিল হয়ে যায়। এদিনের বেঞ্চে অন্য বিচারপতিরা ছিলেন, জে চেলমেশ্বর, এস এ বোবদে, আর কে আগরওয়াল, আর এফ নরিম্যান, এ এম সাপ্রে, ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, এস কে কৌল ও এস আবদুল নাজির।

রায়ে চ্যালেঞ্জের মুখে মোদি সরকারের আধার কার্ড

সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত এসেছে গোপনীয়তার অধিকারের পক্ষে। বিচারপতিরা একমত হয়েছেন, সংবিধানের ২১ নম্বর ধারায় জীবনধারণের ও স্বাধীনতার অধিকার রক্ষা করা হয়েছে। ফলে ওই ধারার সঙ্গে সহজাত ভাবে জড়িত ব্যক্তির গোপনতা রক্ষা অধিকারও মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে।

গোপনীয়তার অধিকারের পক্ষে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। এই রায়ের ফলে আধার কার্ড এর অচল হয়ে পড়ল কিনা সে ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট কিছু বলেনি বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো মনে করছে, আইডি কার্ডে ব্যক্তিগত গোপন তথ্য লাগে, বিধায় এই রায়ে মোদি সরকারের আধার কার্ড চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।