ভারতে আদালত ভবনের বাইরে বিচার হওয়ার কয়েকটি নজির

১৫ বছরের পুরনো ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে রোহতকের সুনারিয়ার জেলের নিজর্ন কারা সেলে সাজার মেয়াদ শোনার অপেক্ষায় আছেন ভারতের বিতর্কিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিং। সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে রোহতকের জেলেই তার বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করবেন বিচারপতি। গত শুক্রবার রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেওয়ার পর ভক্তরা যে রকম তাণ্ডব চালিয়েছিল, তার পরে আর ঝুঁকি নিতে চাইছে না হরিয়ানা প্রশাসন। তবে ভারতে সুরক্ষার স্বার্থে বা বিশেষ প্রয়োজনে আদালত ভবনের বাইরে এরকম এজলাস বসানোটা নতুন নয়। 

প্রতীকী ছবি
পশ্চিমবঙ্গভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরসিংহ রাও ঘুষ দেওয়ার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। ২০০০ সালে সেই মামলার বিচার হয়েছিল নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে। ১৯৯৩ সালে হিরো কাপের সম্প্রসারণ নিয়ে দূরদর্শন এবং ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের মধ্যে মামলায় জরুরি ভিত্তিতে অনেক রাতে বিশেষ আদালত বসেছিল তৎকালীন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি এন কে মিত্রের বাসভবনে।

সে বছরেই বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মামলায় একাধিক বার আদালত বসে বেতওয়া নদীর ধারে মাতাটিলা বাঁধের পাশে এক বাংলোর লনে। সেখানে বন্দি ছিলেন বাবরি ধ্বংসে অভিযুক্ত লালকৃষ্ণ আদভানি, মুরলী মনোহর জোশী, উমা ভারতী, বিনয় কাটিয়ারের মতো নেতারা। তখনও লক্ষ্ণৌ থেকে উড়িয়ে আনা হতো বিচারকদের। মুম্বাই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত আজমল কাসাবের বিচার হয়েছিল মুম্বাইয়ের আর্থার রোড জেলে। প্রাক্তন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য জানান, ‘হাইকোর্টের নির্দেশে নিম্ন আদালত এ ভাবে বসতে পারে।’

হামলার আশঙ্কায় অভিযুক্তেরাও অনেক সময়ে চায়, বিচার হোক জেলেই। যেমন, কাশ্মিরে অশান্তি ছড়ানোর দায়ে ভারতে অভিযুক্ত বিদ্রোহী নেতা সাবির শাহ পটিয়ালা আদালতে এরকম এক আর্জি জানিয়েছেন। সাবির চান, তিহার জেল থেকেই ভিডিও কনফারেন্সে বা জেলেই  বিশেষ আদালতে বিচার হোক তার।

উল্লেখ্য, শুক্রবার ১৫ বছরের পুরনো এক ধর্ষণ মামলায় রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন বিচারপতি জগদীপ। ২০০২ সালে নিজ আশ্রমে দুই নারী অনুসারীকে ধর্ষণ করার দায়ে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।