আরও অভিযোগ আসতে পারে রাম রহিমের বিরুদ্ধে

 

ধর্ষণের অভিযোগে ২০ বছরের সাজা হয়েছে ভারতের স্বঘোষিত ‘ধর্মগুরু’ গুরমিত রাম রহিম সিং। আভিজাত্যের জীবন শেষে কারাগারের অন্ধকারে জীবন কাটাতে শুরু করেছেন তিনি। তবে তার বিরুদ্ধে এমন আরও অভিযোগ আসবে বলে জানিয়েছেন তার ডেরারই সদস্য। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

রাম রহিম ৪

দশ বছর ডেরায় ‘সেবাদার’ এর দায়িত্ব পালন করা গুরদাস সিংহের অভিযোগ, ‘হানিপ্রীত বলে যে নারী গুরমিতের দত্তক কন্যা বলে পরিচিত, তার সঙ্গে আসলে অবৈধ সম্পর্ক ছিল তার।’ এর আগেও ২০১১ সালে হানিপ্রীতের সাবেক স্বামী বিশ্বাস গুপ্ত সালেই সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ করেছিলেন, ‘গুফা’য় হানিপ্রীতের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় গুরমিতকে দেখেছিলেন তিনি। এ-ও বলেছিলেন, বাইরে যাওয়া হলে তাকে থাকতে হতো হোটেলের আলাদা ঘরে। হানিপ্রীত থাকতেন গুরমিতের সঙ্গে।

গুরদাসের জানান, ডেরার সাধ্বীদের মধ্যে দু’টি ভাগ আছে। একদল ব্রহ্মচারী, আর একদল সদব্রহ্মচারী। ব্রহ্মচারীরা সকলের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। কিন্তু সদব্রহ্মচারীরা নিজের বাবা-মায়ের সঙ্গেও একান্তে কথা বলতে পারতেন না। ফোন ব্যবহারও নিষেধ ছিল।

তার দাবি, সাধ্বীদের গুফায় নিয়ে যাওয়ার কোড ছিল ‘মাফি দেনা’। কেউ আপত্তি তুললে তাঁকে শায়েস্তা করার জন্য ছিল বিশেষ ‘মন সুধার বাহিনী’। অর্থাৎ মন বদল করানোর বাহিনী। তারা প্রতিবাদিনীকে মারধর করত। ভয় দেখাত। তিনি জানান, গতকাল থেকেই অনেক নারী তার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তারাও গুরমিতের মুখোশ খুলতে চান।