প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য

গৌরীকে দেখেই গুলি চালাতে শুরু করে তিন মোটরসাইকেল আরোহী

ওৎ পেতে রাখা তিনজন মোটরসাইকেল আরোহী কয়েক দফা গুলি চালিয়ে গৌরীকে হত্যা করেছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে এ কথা বলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ব্যাঙ্গালোরে নিজ বাড়ির সামনেই হত্যাকাণ্ডের শিকার হন গৌরী। বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে বাইরে থেকে সদর দরজা পেরিয়ে বাড়িতে ঢুকতেই বেশ কয়েকটি গুলি চালানো হয় গৌরিকে লক্ষ্য করে। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও ততক্ষণে তিনি চলে গেছেন পৃথিবী ছেড়ে। 
noname

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আরসব দিনের মতোই মঙ্গলবারও কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ। সে সময় ঘটনাস্থলে ওৎ পেতে রেখেছিল ৩ মোটর সাইকেল আরোহী। গৌরী সদর দরজা্ খুলে ভেতরে প্রবেশ করার সময় পরপর ৭ রাউন্ড গুলি বর্ষিত হয়। এরমধ্যে ৩টি গুলি গৌরীর শরীরে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মুত্যু হয়।

বাকী চার গুলি লাগে তার বাড়ির দেয়ালে।

তবে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে: ‘ঘটনাস্থলে ঢুকতেই আমরা দেখলাম, রক্ত নদীতে শুয়ে আছেন তিনি। ঘটনাস্থলে ৪টি গুলির খোসা্ পাওঢা গেছে’। কয়েকদফা গুলির কথা জানালেও সুনির্দিষ্ট করে তিনি বলতে পারেননি ঠিক কতোটি গুলি লেগেছে। ‘পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এলেই জানা যাবে’ বলেছেন তিনি।

মৃত্যুর আগে বহুবার হিন্দুত্ববাদীদের কড়া চোখ রাঙানির সামনে পড়তে হয়েছে গৌরী লঙ্কেশকে। তাকে হিন্দু বিরোধী বলেও কেউ কেউ অ্যাখ্যা দিয়েছিল। বিজেপি সাংসদ প্রহ্লাদ জোশীর বিরুদ্ধে লেখা লিখে মানহানির মামলায় অভিযুক্ত হয়ে এরইমধ্যে ছয় মাস জেলও খেটেছেন তিনি।

হত্যাকাণ্ডের শিকার গৌরি জামিনে মুক্ত ছিলেন। মানহানির সেই মামলায় আইনজীবী ছিলেন বিটি ভেঙ্কটেশ। সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভিকে তিনি গৌরী সম্পর্কে বলেছেন, ‘ তিনি এমন সাংবাদিক ছিলেন না যিনি ঘটনাকে কেবল প্রতিবেদন আকারে হাজির করেন। তিনি ঘটনার পেছনের কারণ খুঁজতেন। এমনকী যারা কারণগুলোর জন্য দায়ী, তা্দেরও খুঁজতেন।এটাই ছিল গৌরীর বিশেষত্ব।’