রোহিঙ্গা ইস্যু মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার: চীন

nonameরোহিঙ্গা ইস্যু মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে মনে করে চীন। এমনটাই জানিয়েছেন মিয়ানমারে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত হং লিয়াং। মঙ্গলবার মিয়ানমারের সমাজকল্যাণমন্ত্রী উইন মিয়াত আই-এর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি নিজ দেশের এমন অবস্থানের কথা জানান। বুধবার মিয়ানমারের সরকারি সংবাদমাধ্যম নিউ লাইট অব মিয়ানমারের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডো অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে রাখাইনের উত্তরাঞ্চলের সাম্প্রতিক সহিংসতায় বাস্তুচ্যুতদের জন্য সহায়তার প্রস্তাব দেন চীনা রাষ্ট্রদূত হং লিয়াং। এ সময় তিনি জনগণকে সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতির জন্য বার্মিজ সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, রাখাইনের সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে চীনের অবস্থান স্পষ্ট। এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। চরমপন্থী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানকে আমরা দৃঢ়ভাবে স্বাগত জানাই।

এদিকে বুধবার নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি সদস্য রাষ্ট্র দীর্ঘমেয়াদে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে একমত হয়েছে। তবে বার্মিজ সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধদের তাণ্ডবের মুখে প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে চীন। বরং দেশটি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত জাতিগত নিধনযজ্ঞকে জঙ্গিবিরোধী অভিযান হিসেবে আখ্যায়িত করে একে স্বাগত জানিয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার রোহিঙ্গা ইস্যুতে বার্মিজ কর্তৃপক্ষের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেং শুয়াং। তিনি বলেন, রাখাইন রাজ্যে সংঘটিত সহিংসতার নিন্দা জানাচ্ছে চীন। তবে সেখানে ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা’ বজায় রাখতে মিয়ানমার সরকার যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তার প্রতি আমাদের সমর্থন রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও একে সমর্থন জানানো উচিত। আশা করি, সেখানে যত দ্রুত সম্ভব স্বাভাবিক জীবনযাপন ফিরিয়ে আনা হবে।

মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠতা দীর্ঘদিনের। দুই দেশেই অধিকাংশ মানুষ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। মিয়ানমারের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার চীন। জাতিসংঘের কূটনীতিকদের অভিযোগ, এর আগেও রোহিঙ্গা-সংকটকে জাতিসংঘের শীর্ষ কাউন্সিলে উত্থাপনে বিরোধিতা করে বেইজিং।