১৮ সেপ্টেম্বর কুয়ালালামপুরে এই বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। আর ২২ সেপ্টেম্বরের রায়ের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো কোনও নোবেল বিজয়ী আন্তর্জাতিক গণআদালতে দোষী সাব্যস্ত হলেন। ইতোপূর্বে কোনও নোবেলজয়ীকে এমন বিচারের মুখোমুখি হতে হয়নি।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল বার্মিজ নেতাদের গণহত্যা বিষয়ক শুনানিতে অংশ নেয়। এতে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের লোকজন মিয়ানমারে তাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত জাতিগত নিধনযজ্ঞের বর্ণনা দেন। নিজেদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রযন্ত্রের অপরাধের বিবরণ তুলে ধরেন সংখ্যালঘু কাচিন সম্প্রদায়ের সদস্যরা। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ মাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোসাইড স্ট্যাডিজ অ্যান্ড প্রিভেনশনের গবেষক অধ্যাপক গ্রেগরি স্ট্যানটনও জবানবন্দি দেন।
গণহত্যা ও নির্যাতনের অন্তত ২০০টি সুস্পষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে মিয়ানমার সরকারকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করা হয়। এছাড়া রায়ের আলোকে ১৭টি সুপারিশ করেন আদালত। এ রায় এবং সুপারিশগুলো জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে পাঠানো হবে।
গণআদালতের শুনানিতে অধ্যাপক গ্রেগরি স্ট্যানটন বলেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী, পুলিশ, বৌদ্ধ মিলিশিয়া এবং দেশটির বর্তমান বেসামরিক সরকার মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা চালিয়েছে। সেখানে রোহিঙ্গারা রাষ্ট্রীয় বৈষম্যের শিকার। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হকও শুনানিতে অংশ নেন।
প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্ক, বিশেষজ্ঞ সাক্ষীদের মতামত, ভুক্তভোগীদের জবানবন্দি বিচার বিশ্লেষণ করে এ রায় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিপিটি মালয়েশিয়া শাখার সাংগঠনিক সভাপতি চন্দ্র মোজাফফর।