ব্রিটিশ যুবরাজ প্রিন্স চার্লসের মিয়ানমার সফর বাতিল

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে ব্রিটিশ যুবরাজ প্রিন্স চার্লসের মিয়ানমারে যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা বাতিল করা হয়েছে। প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, যুবরাজের চূড়ান্ত সফর সূচিতে মিয়ানমারের নামটি বাদ দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রাখাইনে জাতিগত নিধনযজ্ঞ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ ওঠার পর সফরসূচিতে এই পরিবর্তন এলো।

চার্লস ও ক্যামিলা
চলতি মাসের শেষের দিকে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফর করবেন প্রিন্স চার্লস।গত মাসে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরকে উদ্ধৃত করে গার্ডিয়ান জানায়,এ সফরের অংশ হিসেবে মিয়ানমারেও যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল চার্লসের। তার সহযোগীরাও স্বীকার করেছেন, মিয়ানমারকেও সফরসূচিতে রাখার কথা বিবেচনায় ছিল। তবে যুবরাজের চূড়ান্ত সফরসূচিতে মিয়ানমারের নামটি বাদ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৪ অক্টোবর) ইস্যুকৃত চূড়ান্ত সফরসূচিতে দেখা যায় সেখানে মিয়ানমারের নাম নেই। ব্রিটেনের ফরেন এন্ড কমনওয়েলথ অফিস এর বিভাগীয় প্রধান ফিলিপ মেলন বলেন, ‘আমরা জানাচ্ছি যে, আমরা সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া সফরে যাব।’মেলন ও রাজপরিবারের সহযোগীরা এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

রাখাইন রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় গত মাসে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর জন্য নির্ধারিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি স্থগিত করে ব্রিটেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলো মিয়ানমারে চার্লসের সফরের বিরোধিতা করে আসছিলো। বার্মা ক্যাম্পেইন অ্যাট ইউকে নামের মানবাধিকার সংগঠনের পরিচালক মার্ক ফার্মানার বলছেন, ‘এই সময়ে প্রিন্স চার্লসের মতো কারও মিয়ানমার সফরে যাওয়ার মানে দাঁড়াবে সে দেশের সরকার ও সেনাবাহিনীর আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের বিষয়টিকে বৈধতা দেওয়া’।

চার্লস ও ক্যামিলা ৩১ অক্টোবর সিঙ্গাপুরে সফর শুরু করবেন। এরপর মালয়েশিয়া যাবেন তারা। সেখান থেকে ভারতে যাওয়ার মধ্য দিয়ে ১১ দিনের সফর শেষ হবে।