ফিলিপাইনকে বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম ‘অনুদান’ দেবে রাশিয়া

nonameদক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনকে বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম 'অনুদান' দেবে রাশিয়া। এর আওতায় দেশটিকে কালাশনিকভ, ট্রাক ও বিভিন্ন ধরনের প্রতিরক্ষা সামগ্রী দেওয়া হবে। বুধবার সেনাসদস্যদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুয়ার্তে এ ঘোষণা দেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

রদ্রিগো দুয়ার্তে বলেন, আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর লড়াইয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এসব সামরিক সরঞ্জাম অনুদান দেবে মস্কো। এতে করে সেনাবাহিনী আরও সমৃদ্ধ হবে।

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট জানান, চলতি মাসেই রাশিয়ার কাছ থেকে পাঁচ হাজার অ্যাসাল্ট রাইফেল সংগ্রহের ব্যাপারে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। তখন আমাদের হাত নতুন কালাশনিকভ আসবে। ফলে ফিলিপিনো সেনাদের আর পুরনো অস্ত্র ব্যবহার করতে হবে না। তবে রাশিয়া চেয়েছিল এই অনুদানের বিষয়টি গোপন রাখতে।

এর আগে ফিলিপাইনকে ছয় হাজারের বেশি অ্যাসাল্ট রাইফেল ও ১০০টি স্নাইপার রাইফেল অনুদান দেয় চীন। এরপর রাশিয়াও চীনকে অনুসরণ করে। দৃশ্যত অস্ত্র নির্মাণ খাতে যুক্তরাষ্ট্রের এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বের বিষয়ে দুয়ার্তের আগ্রহের প্রেক্ষিতেই দেশ দুটি থেকে এমন ঘোষণা এলো।

কয়েক দশক ধরেই প্রতিরক্ষা খাতে ফিলিপাইনের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। ফিলিপাইনের সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহ, সেনাদের প্রশিক্ষণের মতো কাজে মার্কিন সেনাদের অংশগ্রহণ রয়েছে। ২০০০ সাল থেকে দেশটিকে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে ফিলিপাইন। তবে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুয়ার্তে সাধারণভাবে মার্কিনবিরোধী হিসেবে পরিচিত।

মাদকবিরোধী অভিযানের নামে হত্যাযজ্ঞের সমালোচনা করায় যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দুনিয়ার ওপর ক্ষুব্ধ দুয়ার্তে। ফলে তিনি নিজ দেশে মার্কিন প্রভাব কমাতে আগ্রহী।

একজন সিনিয়র কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, চলতি মাসের শেষদিকে রুশ সমরাস্ত্রগুলো ফিলিপাইনে পৌঁছাবে। এতে রাইফেল ছাড়াও লাখ লাখ রাউন্ড গোলাবারুদ এবং কয়েক ডজন সেনা ট্রাক থাকবে।

এসব সরঞ্জাম পাঠানোর প্রস্তুতি হিসেবে রাশিয়ার পাঁচটি যুদ্ধবিমান আগেই ম্যানিলায় পাঠানো হবে। এরমধ্যে চলতি বছর দুই দফায় চারটি যুদ্ধবিমান দেশটি ঘুরে গেছে। চূড়ান্ত দফায় সরঞ্জাম পাঠানোর আগে আরও একটি যুদ্ধবিমান দেশটি ঘুরে যাবে।

দুয়ার্তে বলেন, আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এসব সমরাস্ত্রের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ, জঙ্গিরা হারিয়ে যাবে না। কোথাও না কোথাও তারা আবারও সংঘবদ্ধ হবে।