অপহরণের ৫ বছর পর পাকিস্তান থেকে মার্কিন-কানাডীয় দম্পতি উদ্ধার

পাকিস্তানে জঙ্গিদের কাছে পাঁচ বছর জিম্মি থাকার পর অবশেষে তিন সন্তানসহ মার্কিন-কানাডীয় দম্পতিকে উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার রাতে (১১ অক্টোবর) মার্কিন গোয়েন্দাদের সহযোগিতায় পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর চালানো এক অভিযানে তারা উদ্ধার হন।

দুই পুত্রসহ কোলম্যান ও তার স্বামী জোশুয়া
২০১২ সালে ৩১ বছর বয়সী মার্কিন নাগরিক কাইটলান কোলম্যান এবং তার স্বামী কানাডীয় নাগরিক জোশুয়া বোয়েল (৩৩ বছর) কে জিম্মি করে জঙ্গিরা। তাদেরকে আফগানিস্তানে আটকে রাখা হয়। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত এ দেশটিতে পর্যটক হিসেবে ভ্রমণ করার সময়ই এই দম্পতি অপহৃত হন। ওই মার্কিন নারী অপহরণের সময় অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন এবং জিম্মিদশায় থাকাকালে তিনি তিন সন্তানের জন্ম দেন।  

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন জানায়, বুধবার রাতে কোহাত শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের নাওয়ে কালি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যৌথ অভিযান চালায়। সেসময় ওই বিদেশি দম্পতি ও তাদের সন্তানদের উদ্ধার করা হয়।  

পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ বিভাগের (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে একটি অভিযান পরিচালনার মধ্য দিয়ে ৫ বিদেশি জিম্মিকে জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাদের অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করছিল এবং তারা জানতে পারে ১১ অক্টোবর কুররাম এজেন্সি হয়ে ওই জিম্মিদের পাকিস্তানে পাঠানো হয়েছে।’

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অপহরণকারীদের একজনকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়া হলেও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলির পর তার অপর দু্ই সঙ্গী পালিয়েছে।

অবশ্য, অন্য সূত্র ডনের কাছে দাবি করেছে, জিম্মিদেরকে খাইবার পাখতুনখার একটি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। কেন্দ্র শাসিত আদিবাসী এলাকা এবং খাইবার পাখতুন খা-তে দশদিন ধরে ড্রোনের উপস্থিতি দেখা গেছে বলেও দাবি করেছে ওই সূত্র।  কোহাত এবং আশেপাশের এলাকার বাসিন্দারাও ১০ দিন ধরে ওইসব জায়গায় ড্রোন দেখতে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। স্থানীয়দের দাবি হানগু, কুররাম ও উত্তর ওয়াজিরিস্তানেও ড্রোন দেখা গেছে।

বিভিন্ন মিডিয়ার খবরেও বলা হয়েছে কোহাতের আকাশে বুধবার ড্রোন উড়তে দেখে স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। পড়ে ‘বিদেশি বস্তু’ গুলোকে বাধা দিতে পাকিস্তানের বিমান বাহিনীর বিমান ও হেলিকপ্টার সেখানে পৌঁছায়।

কোহাত ও আশেপাশের এলাকাগুলোতে বিপুল সংক্যক শরণার্থ ও অনিবন্ধিত আফগান নাগরিকদের বসবাস।