রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ বন্ধ করতে মিয়ানমারকে যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি

রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উপর নিধনযজ্ঞ বন্ধ না করলে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানায়, রোহিঙ্গা নিধন নিয়ে তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে একথা জানা যায়।

24rohingya1-master768

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতোমধ্যে মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আরও নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা করছে তারা। পররাষ্ট্র দফতর জানায়, রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞে জড়িতরা মার্কিন সহায়তা পাওয়ার যোগ্য নয়।

এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘মিয়ানমার সরকার ও তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে ব্যবস্থা নিতে হবে, মানবিক সহায়তা দিতে সংস্থাগুলোকে অনুমোদন দিতে হবে এবং যারা পালিয়ে গেছে তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে।’ এছাড়া এই সংকটের মূল খুঁজে তা সমাধানের আহ্বান জানানো হয়।

গত ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার পর রোহিঙ্গাদের উপর নিধনযজ্ঞ শুরু করে সামরিক বাহিনী। হত্যা ও ধর্ষণ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ৬ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। জাতিসংঘ জানিয়েছে খুব শিগগিরই বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। এরপরই কঠোর হুঁশিয়ারি দিলো যুক্তরাষ্ট্র।

জেনেভায় ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা বাংলাদেশকে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় সহায়তা করতে একমত হয়।

আন্তর্জাতিক চিকিৎসাসেবা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার জানায়, ‘শরণার্থী শিবিরে স্বাস্থ্য অবস্থা টাইম বোমের মতো রয়েছে।’ আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা উইলিয়াম লেসি সুইং বলেন, নাফ নদী দিয়ে আসার সংখ্যা প্রতিদিন ৩ হাজার থেকে কমে ১ হাজারে এসেছে। কিন্তু এখনও আসছে। আর এই গতিতে আসতে থাকলে খুব দ্রুতই রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে।’

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সমন্বয়ক মার্ক লোকক বলেছেন, রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৩ লাখেরও বেশি শিশু। তাদের অনেকেই অপুষ্টিতে ভুগছে।