আফগান টিভি স্টেশনে আত্মঘাতী হামলা, বহু হতাহতের আশঙ্কা

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের একটি স্থানীয় টেলিভিশন স্টেশনে মঙ্গলবার গ্রেনেড ও বন্দুক দিয়ে আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় মানুষের হতাহত হওয়ার কথা জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। আরেক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বহু মানুষের হতাহত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার খবরে বলা হয়েছে, গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ওই টেলিভিশন ভবনে প্রবেশ করে হামলাকারীরা। প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকজনকে হত্যার পর এখনও ভবনের ভেতরে অবস্থান করছে তারা।  সেখান থেকে গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির খবরেও ওই টেলিভিশন স্টেশনের কর্মীদের বরাত দিয়ে  ভেতরে এখনও হামলা অব্যাহত থাকার কথা জানানো হয়েছে।

2351

ভয়েস অব আমেরিকা প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অজ্ঞাত পরিচয়ধারী কয়েকজন হামলাকারী গ্রেনেড ছুড়তে ছুড়তে ওই ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে।গ্রেনেড হামলার পাশাপাশি বন্দুক দিয়েও হামলা চালায় তারা।  ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানিয়েছে,  ভবনে প্রবেশের সময় নিরাপত্তারক্ষীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ভবনে শতাধিক কর্মী আটকা পড়ে আছেন। পালিয়ে আসতে সক্ষম হওয়া চ্যানেলটির একজন প্রতিবেদক বিবিসিকে জানায় যে বন্দুকধারীরা ভেতরেই অবস্থান করছেন। শামসাদ নামে ওই টিভি চ্যানেলে ঢোকার সময় গ্রেনেড নিক্ষেপ করে হামলাকারীরা। এরপর এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন তারা। 

11

চ্যানেলটির একজন কর্মী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, অনেকেই ভেতরে আটকা পড়ে আছেন। এখনও গোলাগুলি চলছে। শামসাদ টিভির ফয়সাল জালান্দ নামের ওই রিপোর্টার বলেন, ‘আমি সিসি ক্যামেরাতে তিনজন হামলাকারীকে টিভি স্টেশনে প্রবেশ করতে দেখি। তারা প্রথমে নিরাপত্তা রক্ষীকে গুলি করে, তারপর প্রবেশ করে। এরপর তারা গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং গুলি ছুঁড়তে থাকে। তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা হামলাকারীদের দম করার চেষ্টা করছে। আমার কয়েকজন সহকর্মী নিহত হয়েছেন, আহতও হয়েছেন কয়েকজন। আমি পালিয়ে আসতে সক্ষম হই।’ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই চ্যানেলের কার্যালয়ে প্রথমে গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। এরপর তারা গুলি চালাতে শুরু করে। 
হামলার কিছুক্ষণ পরেই টেলিভিশন চ্যানেলটির সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়। দেশটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলার কথা নিশ্চিত করলেও বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

C518DsZWgAALCHL

এখনও কোনও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এই হামলার দায়ভার স্বীকার করেনি। তবে হামলা সংঘটিত হওয়ার পরপরই এক টুইট বার্তার মাধ্যমে এর দায় অস্বীকার করে তালেবান। জঙ্গিগোষ্ঠী তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এক টুইটবার্তায় জানান, তালেবান এই হামলার সঙ্গে জড়িত নয়। একই ধারার বেশকিছু  সাম্প্রতিক হামলায় তালেবান দায় শিকার করেছিল।