ভিয়েতনামে বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন ট্রাম্প-পুতিন

ভ্লাদিমির পুতিন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শুক্রবার সাক্ষাৎ করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভিয়েতনামে অর্থনৈতিক শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে দুই নেতার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার রুশ প্রেসিডেন্টের দফতর ক্রেমলিন থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

ক্রেমলিন জানিয়েছে, ‘১০ নভেম্বর দুই নেতার বৈঠকের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।’

ধারণা করা হচ্ছে, বৈঠকে ট্রাম্প ও পুতিন সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি এবং কোরিয়া উপদ্বীপে উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা করবেন। এছাড়া দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় তাদের আলোচনায় স্থান পাবে।

এর আগে গত মে মাসে সিরিয়া ইস্যু নিয়ে ফোনে দুই নেতার কথা হয়। এ সময় তারা যুদ্ধ নিরসনে দেশটিতে অস্ত্রবিরতি কার্যকর করতে একমত হন। ওই সময়ে হোয়াইট হাউস ও ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়, দুই নেতার কথপোকথন ছিল খুবই অন্তরঙ্গ। তাদের মধ্যে উত্তর কোরিয়া এবং সামনাসামনি বৈঠকের বিষয়েও আলোচনা হয়।

গত জুলাইয়ে জার্মানিতে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক করেন দুই নেতা। ওই বৈঠকের পর সিরিয়ায় আসাদবিরোধীদের সমর্থন দেওয়া বন্ধ করতে সিআইএ’কে নির্দেশ দেন ট্রাম্প। ২০১৩ সালের একটি প্রকল্পের আওতায় এ বিদ্রোহীদের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। বিশ্লেষকদের ধারণা, এর মধ্য দিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার চেষ্টা করেছেন ট্রাম্প। তবে গত সেপ্টেম্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্পের প্রতি কোনও বিশেষ দুর্বলতার খবর নাকচ করে দেন পুতিন।  

ট্রাম্পের আচরণে হতাশ হয়েছেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ‘ট্রাম্প আমার স্ত্রী নন; আমিও তার স্বামী নই।’ আমি যেমন রাশিয়ার স্বার্থে কাজ করছি; ট্রাম্প তেমনি আমেরিকার জাতীয় স্বার্থে কাজ করছেন। তবে আমি আশাবাদী যে, বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট দ্বিপাক্ষিক এবং আন্তর্জাতিক সমস্যা নিরসনে সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেন। ট্রাম্পকে ইমপিচ করা হলে রাশিয়ার অনুভূতি কেমন হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে কথা বলাটা রাশিয়ার জন্য পুরোপুরি ভুল হবে।