অ্যাপেক সম্মেলনে হচ্ছে না ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক

ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভ্লাদিমির পুতিনভিয়েতনামে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনোমিক কো-অপারেশন (অ্যাপেক) সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভ্লাদিমির পুতিনের বহুল প্রত্যাশিত বৈঠকটি শেষ পর্যন্ত হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার রুশ প্রেসিডেন্টের দফতর ক্রেমলিন থেকে দুই নেতার সাক্ষাতের কর্মসূচির কথা বলা হলেও শুক্রবার সেটি নাকচ করে দিয়েছে হোয়াইট হাউস। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

শুক্রবার এয়ারফোর্স ওয়ানের বিমানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ বিষয়ে কথা বলেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স। তিনি বলেন, অ্যাপেক সম্মেলনে দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকের নির্ধারিত কোনও কর্মসূচি নেই। সময় স্বল্পতার কারণে এ ধরনের বৈঠকের সুযোগ নেই। এ বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গেও কোনও কর্মসূচি চূড়ান্ত করেনি হোয়াইট হাউস।

বৃহস্পতিবার ক্রেমলিন জানিয়েছিল, ‘১০ নভেম্বর দুই নেতার বৈঠকের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।’

এর আগে গত জুলাইয়ে জার্মানিতে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক করেন দুই নেতা। ওই বৈঠকের পর সিরিয়ায় আসাদবিরোধীদের সমর্থন দেওয়া বন্ধ করতে সিআইএ’কে নির্দেশ দেন ট্রাম্প। ২০১৩ সালের একটি প্রকল্পের আওতায় এ বিদ্রোহীদের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। বিশ্লেষকদের ধারণা, এর মধ্য দিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার চেষ্টা করেছেন ট্রাম্প। তবে গত সেপ্টেম্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্পের প্রতি কোনও বিশেষ দুর্বলতার খবর নাকচ করে দেন পুতিন। 

ট্রাম্পের আচরণে হতাশ হয়েছেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ‘ট্রাম্প আমার স্ত্রী নন; আমিও তার স্বামী নই।’ আমি যেমন রাশিয়ার স্বার্থে কাজ করছি; ট্রাম্প তেমনি আমেরিকার জাতীয় স্বার্থে কাজ করছেন। তবে আমি আশাবাদী যে, বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট দ্বিপাক্ষিক এবং আন্তর্জাতিক সমস্যা নিরসনে সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেন। ট্রাম্পকে ইমপিচ করা হলে রাশিয়ার অনুভূতি কেমন হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে কথা বলাটা রাশিয়ার জন্য পুরোপুরি ভুল হবে।