যৌন সহিংসতা প্রতিরোধে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের অ্যাঞ্জেলিনা জোলির আহ্বান

যৌন সহিংসতা প্রতিরোধে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনের সদস্যদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। উদাহরণ টানেন মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে নারীদের ওপর চলা যৌন সহিংসতারও। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে এতথ্য জানা যায়।

3600

প্রতিবেদনে বলা হয়, শান্তিমিশনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়ক সম্মেলনে এক বক্তব্যে যৌন সহিংসতা প্রতিরোধ ও অপরাধের শাস্তির বিষয়টি আরও গুরুত্ব সহকারে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন জোলি।

তিনি বলেছেন, যৌন সহিংসতা সমঅধিকার অর্জনে বড় বাধা ও মানবাধিকার পরিপন্থী। উপস্থিত সবাইকে এই সহিংসতাকে একটি ‘অস্ত্র’ বিবেচনা করে থামানের তাগিদ দেন জোলি।

এই হলিউড তারকা বলেন, ‘এই সহিংসতা একটি বুলেটের চেয়েও সস্তা। কিন্তু এটির প্রভাব মারাত্মক ও দীর্ঘস্থায়ী।’ এসময় তিনি মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রায় প্রত্যেক নারীই এই সহিংসতার শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘এই ধর্ষণ ও সহিংসতা শুধু নির্যাতন করা ও আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যেই করা। এটার সঙ্গে শারীরিক কামনা বা সেক্সের কোনও সম্পর্ক নয়। এটা শুধু ক্ষমতার অপব্যবহার। এটা অপরাধ।

হলিউডসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও ক্ষমতাশালীদের যৌন নিপীড়নের কথা উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, ‘বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই নিপীড়ন সহকর্মীদের মাঝে হাসির খোরাক জোগায়। ছোট অপরাধ বলে মনে করা হয়। নিজেদের সামলাতে না পেরে এমনটা করেছে বলে যুক্তি দেখানো হয়। কিন্তু এসব কিছুই ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া আর কিছুই নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি মেনেও নেই যৌন সহিংসতা একটি অস্ত্র এবং ক্ষমতার অপব্যবহার। তারপরও অনেকে বিশ্বাস করেন যে এটি সমাধানের উপায় নেই। এটা হয়তো কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়। আমাদের আইন আছে। প্রমাণ সংগ্রহ করে আমরা দোষীদের শাস্তি দিতে পারি।’