আর্জেন্টিনায় ৪৪ আরোহীসহ নিখোঁজ সাবমেরিনের খোঁজে নাসা

আর্জেন্টিনার দক্ষিণ উপকূল থেকে অন্তত ৪৪ আরোহীসহ নিখোঁজ হওয়া সাবমেরিনের অনুসন্ধানে যুক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। সাবমেরিনটির সঙ্গে যোগাযোগ করতে আকাশ ও নৌপথে যৌথ অভিযান শুরু করেছে আর্জেন্টাইন কর্তৃপক্ষ। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে নাসার একটি গবেষণা বিমান। রবিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

noname

সান জুয়ান নামের ওই সাবমেরিনটি আর্জেন্টিনার ইশুওয়া থেকে যাত্রা করেছিল। এটি রাজধানী থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণের মার দেল প্লাটা নৌ ঘাঁটিতে যাচ্ছিল। বুধবার সকালে সর্বশেষ সাবমেরিনটির কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ হয় কর্তৃপক্ষের। এরপরই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সান জুয়ান।

এ পরিস্থিতিতে আর্জেন্টিনাকে সাবমেরিনটির উদ্ধার অভিযানে সহায়তার প্রস্তাব দেয় যুক্তরাষ্ট্র হয়। আর্জেন্টাইন কর্তৃপক্ষের এ আহ্বানে সাড়া দিলে উদ্ধার তৎপরতায় যুক্ত হয় নাসা। পি-৩ এক্সপ্লোরার এয়ারক্রাফট নিয়ে এ অভিযানে যুক্ত হয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে সাবমেরিনটি নিখোঁজ হওয়ার কথা বলা হলেও একে নিখোঁজ বলতে রাজি নয় নৌবাহিনী। এ দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাকে তারা বরং ‘যোগাযোগের ব্যর্থতা’ হিসেবেই দেখতে চাইছে।

নৌবাহিনীর মুখপাত্র এনরিক বালবি বলেছেন, ‘এই ইস্যুতে আমি কোনও নাটক চাই না। আমাদের যোগাযোগের ঘাটতি রয়েছে। সেখানে কী ঘটেছে সেটা এই মুহূর্তে আমার জানা নেই।’

সাবমেরিনটির আরোহীদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা নিয়ে আর্জেন্টাইন নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। ওই আরোহীদের পরিবারের সদস্যরা দেশটির নৌ ঘাঁটিতে ভিড় করছেন।

আর্জেন্টাইন বংশোদ্ভূত বর্তমান পোপ ফ্রান্সিস জানিয়েছেন, সাবমেরিনটির আরোহীদের জন্য তিনিও প্রার্থনা করেছেন।

জার্মানির তৈরি ওই সাবমেরিনটি অনেক পুরনো বলে জানা গেছে। ১৯৮৫ সালে পুরনো সাবমেরিন হিসেবে জার্মানির কাছ থেকে একটি সংগ্রহ করে আর্জেন্টিনা।