হয়রানির বিরুদ্ধে সোচ্চার নারী-পুরুষরা টাইম ম্যাগাজিনের পারসন অব দ্য ইয়ার

image

যৌন নির্যাতন ও হয়রানির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে #মি টু হ্যাশটাগ ব্যবহার করে একে বৈশ্বিক আন্দোলনে রূপদানকারী নারী ও পুরুষদের ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ খেতাব দিয়েছে টাইম ম্যাগাজিন। বুধবার মার্কিন এই প্রভাবশালী সাময়িকী এ ঘোষণা দেয়।

হলিউডের প্রযোজক হার্ভি ওয়াইনস্টিনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে #মি টু হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে যৌন নির্যাতকদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন, যা অল্প সময়ের মধ্যে সামাজিক আন্দোলনে রূপ নেয়।

টাইম ম্যাগাজিনের দাবি, #মি টু হ্যাশটাগ ‘নির্যাতন ও হয়রানির পুরো চিত্র নয়; এর একটি অংশ মাত্র’।

টাইম ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক অ্যাডওয়ার্ড ফেলসেনথালের ভাষ্য, ‘এটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়া সামাজিক আন্দোলন, যা গত কয়েক দশকে আমরা দেখিনি।’ এনবিসি টুডে প্রোগ্রামে তিনি বলেন, ‘শত শত সাহসী নারীর ব্যক্তিগত পদক্ষেপ থেকে এ আন্দোলনের সূচনা হয়। পরে এ আন্দোলনে কিছু পুরুষও নিজেদের গল্প প্রকাশের জন্য যোগ দেন।’

১৯২৭ সাল থেকেই ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা দিয়ে আসছে টাইম ম্যাগাজিন। বছরজুড়ে যিনি প্রভাব বিস্তার করেন বেশি, তিনি ভালো বা খারাপ হোন, তাকে ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ খেতাব দিয়ে থাকে টাইম ম্যাগাজিন। গত বছর এই খেতাব পেয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সূত্র- বিবিসি।