বিশ্বজুড়ে বেড়েছে অস্ত্র বিক্রি

২০১০ সালের পর প্রথমবারের মতো ২০১৬ সালে বিশ্বজুড়ে অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে।  সুইডেনভিত্তিক সংস্থা  `স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট’ বা সিপ্রির দেওয়া পরিসংখ্যান থেকে এই তথ্য জানা গেছে। বিভিন্ন রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ পরিসরে অস্ত্র ব্যবহারের প্রবণতা বৃদ্ধি, সামরিক অভিযান এবং আঞ্চলিক উত্তেজনার কারণে অস্ত্র বিক্রি বেড়েছে বলে জানিয়েছে তারা।

ফাইল ছবি

১৯৬৬ সালে সুইডেনের সংসদের মাধ্যমে ‘স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট’ নামের সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। তারা অস্ত্র প্রতিরোধে সারা বিশ্বের সামরিক ব্যয় ও অস্ত্র লেনদেন বিষয়ক তথ্য জনপরিসরে হাজির করে থাকে। সংস্থাটির সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ ১০০ অস্ত্রনির্মাতা ২০১৬ সালে ৩৭৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে৷ ২০১০ সালের পর গতবছরই প্রথমবারের মতো অস্ত্র বিক্রি বেড়েছে৷ ২০১৫ সালের তুলনায় এই পরিমাণ প্রায় দুই শতাংশ বেশি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ত্র বিক্রির বেড়ে যাওয়াটা অনুমিতই ছিল। বিভিন্ন দেশের বড় ধরনের অভ্যন্তরীণ অস্ত্র কর্মসূচির বাস্তবায়ন, অনেক জায়গায় চলমান সামরিক অভিযান ও আঞ্চলিক উত্তেজনা বিদ্যমান থাকায় অস্ত্রের চাহিদা বেড়ে গেছে।  

noname

এতে আরও বলা হয়, শীর্ষ ১০০ অস্ত্র নির্মাণ কোম্পানির মধ্যে ৬৩টিরই অবস্থান যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিম ইউরোপে। গতবছর যত অস্ত্র বিক্রি হয়েছে তার মধ্যে ৮২ শতাংশেরও বেশি বিক্রি করেছে এই কোম্পানিগুলো৷ বিক্রির তালিকায় শীর্ষস্থানীয় প্রথম তিন কোম্পানিই যুক্তরাষ্ট্রের। জার্মান নির্মাতাদের বিক্রিও ২০১৫ সালের তুলনায় ৬.৬ শতাংশ বেড়েছে৷ ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে জার্মানির তৈরি অস্ত্রের চাহিদা রয়েছে৷

২০১৬ সালের শীর্ষ ১০০ অস্ত্র ব্যবসায়ীর তালিকায় দক্ষিণ কোরিয়ার সাতটি কোম্পানি রয়েছে৷ গতবছর দক্ষিণ কোরিয়ার নির্মাতারা ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে৷ ২০১৫ সালের তুলনায় এই সংখ্যা ২০ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি বলে জানিয়েছে সিপ্রি৷ দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, পূর্ব ইউরোপ ও দক্ষিণ অ্যামেরিকায় দক্ষিণ কোরিয়ার অস্ত্রের চাহিদা রয়েছে৷