নতুন ৪৩ হাজার সদস্য যুক্ত হচ্ছে তুর্কি সেনাবাহিনীতে

২০১৮ সালে তুরস্কের সেনাবাহিনীতে যুক্ত হচ্ছে প্রায় ৪৩ হাজার সদস্য।  সে দেশের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলুর বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে। ২০১৬ সালের ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের সময়ে সাড়ে আট হাজার সেনাসদস্যকে ছাটাই করা হয়েছিল। নতুন করে সেখানে ৪৩ হাজার সদস্য যুক্ত হলে ছাটাইকৃতদের শূন্যস্থান পূরণ হওয়ার পাশাপাশি  আরও ৩৪ হাজার লোকবল বাড়বে দেশটির সেনাবাহিনীতে।

তুরস্কের সেনাসদস্যদের কুচকাওয়াজ

মঙ্গলবার আনাদোলুর খবরে এক সামরিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়, নতুন লোকবলের মধ্যে ৩ হাজার ৭৫৫ জন কর্মকর্তা ও ৫ হাজার ৩৭৫ জন অনুমোদিত সদস্য নেওয়া হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাহিনীতে ১৩ হাজার ২১৩ জন বিশেষায়িত সার্জেন্ট ও ২০ হাজার ৫৯৫ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে।

তুরস্ক ব্যর্থ অভ্যুত্থানের জন্য দেশটির ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনকে দোষারোপ করে আসছে। ওই অভ্যুত্থানে প্রায় ৩০০ মানুষকে হত্যা করা হয়। এরপর সামরিকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক শুদ্ধি অভিযান চালানো হয়। ২০১৬ সালের জুলাই মাসের পর হাজার হাজার বেসামরিক চাকরিজীবী ও নিরাপত্তা কর্মীকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে অথবা চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এমনকি অনেককে বিচারের জন্য কারাগারেও পাঠানো হয়েছে।

সরকার বলছে, ফেতুল্লাহ গুলেনের সমর্থকদের রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেওয়ার জন্যই এই শুদ্ধি অভিযান ও আটক করা হয়েছে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার পাশাপাশি তুরস্কের ইউরোপিয়ান ‍মিত্ররাও এ গ্রেফতার ও ছাঁটাইকে স্বেচ্ছাচারিতা উল্লেখ করে বিরোধিদের চুপ করিয়ে দিতেই সরকার ব্যর্থ অভ্যুত্থানের ঘটনাকে কাজে লাগাচ্ছে।

ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর ফেতুল্লাহ গুলেনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সামরিক বাহিনীর ৮ হাজার ৫৬৫ সদস্যকে বহিস্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫০ জন জেনারেল, ৪ হাজার ৬৩০ জন কর্মকর্তা, ২ হাজার ১৬৭ জন নন-কমিশন্ড কর্মকর্তা, এক হাজার ২১০ জন বিশেষায়িত সার্জেন্ট ও চুক্তিভিত্তিক সেনা সদস্য আর ৪১১ জন বেসামরিক কর্মচারী ও শ্রমিক। এছাড়া ১৬ হাজার ৪০৯ জন সামরিক শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে।