ইসরায়েল, আমেরিকার মদদেই ইরানে বিক্ষোভ: তুরস্ক

ইসরায়েল ও আমেরিকার মদদেই ইরানে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। বুধবার আঙ্কারায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ইরানের এই অস্থিরতার পেছনে দুইজন ব্যক্তি রয়েছেন। তাদের একজন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। অন্যজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মেভলুত কাভুসোগলুমেভলুত কাভুসোগলু বলেন, তুরস্ক সবসময়ই এ ধরনের বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরোধী।

তিনি বলেন, এটি ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু তাদের স্থিতিশীলতা প্রতিবেশীদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রত্যাশা ইরানের এই সংঘাত বন্ধ হবে। দেশটিতে দ্রুত স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।

এদিকে সাম্প্রতিক বিক্ষোভের বাস্তবতায় ইরানের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। বুধবার ইরানি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপে তিনি আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ না করতে বিক্ষোভকারীদের প্রতি রুহানির আহ্বানকে স্বাগত জানান।

২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর ইরানে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক মানুষ। রুহানির সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান বলেন, তার প্রত্যাশা কয়েক দিনের মধ্যেই এ বিক্ষোভের ইতি ঘটবে।

বিক্ষোভের জন্য ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবকে দুষছে ইরান। তবে বিক্ষোভের নেপথ্যে মার্কিন উসকানির অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন মদদের অভিযোগকে কাণ্ডজ্ঞানহীন আখ্যা দিয়েছে তারা। সরকারবিরোধী বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্র উসকানি দিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ তুলেছে তেহরান। এর বিপরীতে বিক্ষোভকে ‘স্বতঃস্ফূর্ত’ উল্লেখ করে এ নিয়ে জাতিসংঘে জরুরি বৈঠক আহ্বানের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘে ‍নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি।

বিক্ষোভকারীদের সমর্থন দিয়ে পোস্ট করা ট্রাম্পের টুইটের প্রতিক্রিয়ায় ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুর রেজা রাহমানি ফাজলি বলেছেন, শত্রুরা এখন নিজেদের ইরানি জনগণের বন্ধু হিসেবে তুলে ধরছে। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি।