কিমের সঙ্গে কথা বলতে চান ট্রাম্প

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের একটি অবকাশযাপন কেন্দ্রে দলের বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নিজের এমন অবস্থানের কথা জানান ট্রাম্প। তার ভাষায়, ‘আমি অবশ্যই কথা বলবো। কথা বলতে কোনও সমস্যা নেই।’ ট্রাম্পের প্রত্যাশা, এই ফোনালাপ দুই কোরিয়ার মধ্যকার আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতির পথ সুগম করবে। রবিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

nonameডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘এখন অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করা নিয়ে তারা কথা বলতে শুরু করেছে। এটা বড় রকমের একটা ঘটনার শুরু। আমি জড়িত না থাকলে তারা কথা বলতো না।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি উনের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত রয়েছি। যুক্তরাষ্ট্র আলাপ-আলোচনায় বিশ্বাসী। তবে আমাদের অবস্থান খুবই শক্ত। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সত্যিকার অর্থে কোনও সমস্যায় জড়াতে আমি আগ্রহী নই। বরং আলোচনার মাধ্যমে ভালো ফল নিয়ে আসাটাই হবে মঙ্গলজনক।

উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে দুই দেশের বাগ্‌যুদ্ধের মধ্যেই ট্রাম্পের এমন বক্তব্য সামনে এলো।

এর আগে কিম হুঁশিয়ারি জানিয়ে বলেছিলেন, তার টেবিলে পারমাণবিক বোমার সুইচ রয়েছে। কিমের এই বক্তব্যের জবাবে ট্রাম্প বলেন, আমার কাছেও পারমাণবিক বোমার সুইচ রয়েছে। তার চেয়ে আমার সুইচ অনেক বেশি শক্তিশালী। আমার সুইচ কার্যকর। ট্রাম্পের এই টুইটের পর সমালোচনা শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রে। বিশেষ করে ডেমোক্র্যাট শিবির এবং সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একে বিপজ্জনক দাম্ভিকতা বলে উল্লেখ করেন।

বুধবার হোয়াইট হাউসের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকরা জানতে চান, আমেরিকানদের কি ট্রাম্পের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত? জবাবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স বলেন, এই দেশের প্রেসিডেন্ট ও জনগণের উচিত উত্তর কোরীয় নেতার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া।

সারাহ স্যান্ডার্স বলেন, তিনি (কিম) বারবার হুমকি দিচ্ছেন। বছরের পর বছর ধরে তিনি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করছেন। কিন্তু আমাদের প্রেসিডেন্ট হলেন এমন ব্যক্তি যিনি মাথা নত করবেন না এবং দুর্বল হবেন না।