অভ্যুত্থানে অভিযুক্ত তুর্কি সেনার আশ্রয় স্থগিত করলো গ্রিসের আদালত

তুরস্কে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনায় অভিযুক্ত এক তুর্কি সেনার আশ্রয় স্থগিত করেছে গ্রিসের আদালত। সোমবার দেশটির আদালত এ রায় দেন। এর আগে দেশটিতে ওই সেনার সাময়িক আশ্রয় মঞ্জুর করা হয়েছিল। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

noname২০১৬ সালের ১৫ জুলাই তুরস্কের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর অন্য সাত সেনার সঙ্গে ওই সেনাও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। গ্রিসের স্বতন্ত্র অ্যাসাইলাম কাউন্সিল ওই সেনার সাময়িক আশ্রয় মঞ্জুর করেছিল। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল আদালতের দ্বারস্থ হয় দেশটির কর্তৃপক্ষ। এর ভিত্তিতেই সোমবার এ সংক্রান্ত রায় দেন আদালত।

গ্রিস সরকার বলছে, এ আশ্রয় দেওয়াকে কেন্দ্র করে ইউরোপের আরেক দেশ তুরস্কের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটছে; যা এরইমধ্যে উত্তেজনাকর পর্যায়ে রয়েছে। ফলে রাজনৈতিক বিবেচনায় বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

২০১৬ সালের ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর একাংশ অভ্যুত্থান ঘটিয়ে তুরস্কের ক্ষমতা দখলের দাবি করে। মধ্যরাতে টেলিভিশনে ঘোষণা দিয়ে এরদোয়ান সরকারকে উচ্ছেদের দাবি করে তারা। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও মানবাধিকার রক্ষার স্বার্থে’ সশস্ত্র বাহিনী তুরস্কের ক্ষমতা দখল করেছে। তবে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে এরদোয়ানের সমর্থকরা রাস্তায় নেমে এলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এক পর্যায়ে ব্যাপক গণপ্রতিরোধের মুখে পিছু হটে সেনারা।

অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার পর পালিয়ে দেশ ছাড়েন আট সেনা কর্মকর্তা। গ্রিসে আশ্রয় চান তারা। এই কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন দুজন কমান্ডার, চারজন ক্যাপ্টেন এবং দুজন সার্জেন্ট। অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার চারদিন পর একটি হেলিকপ্টারে করে গ্রিসে পৌঁছে দেশটিতে আশ্রয় চান তারা। এ ঘটনায় ওই সেনাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে গ্রিসের প্রতি দীর্ঘদিন থেকে দাবি জানিয়ে আসছে তুরস্ক।