২০১৯ সালের মধ্যে তেল উত্তোলনে সৌদি আরব ও রাশিয়াকে ছাড়িয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব এনার্জি ফোরকাস্ট-এর পূর্বাভাসে বলা হয়, ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিদিন এক কোটি ৮ লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলন করবে। পরের বছরের নভেম্বরে তা ১১ কোটি ব্যারেলে পৌঁছাবে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।
এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট (ইআইএ) বলছে, সবচেয়ে বেশি তেল উত্তোলন বাড়ানো হবে পানমিয়ান বাসিন তেলক্ষেত্র থেকে। টেক্সাস ও নিউ মেক্সিকো রাজ্যের মধ্যবর্তী এলাকার তেলক্ষেত্রটি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় তেলক্ষেত্র। ইআইএ’র ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক জন কন্টি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘পারমিয়ান বাসিন ও কানাডার নতুন তেল চুক্তি প্রকল্পগুলোতে ওপেক বহির্ভূত উৎপাদন চলছে। ২০১৯ সালের শেষ পর্যন্ত তা আরও বাড়ানো হবে। আশা করছি, ২০১৮ সালে প্রতিদিন বাড়তি ২০ লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলন করা হবে। আর ২০১৯ সালে প্রতিদিন আরও ১৩ লাখ ব্যারেল তেল বেশি উত্তোলন করা হবে।’
এক প্রতিবেদনে ইআইএ বলেছে, ২০১৮ সালের প্রথম তিন মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তেলের দাম গড়ে ৫৪ দশমিক ০১ ডলার হতে পারে। আগের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল এটি ৫১ দশমিক ৭৯ ডলার হতে পারে।
২০১৪ সালের পর মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দাম বেড়ে প্রতি ব্যারেল ৬৩ দশমিক ১৭ ডলার হয়েছে। এরমধ্যেই দেশটির তেলের দামের নতুন ধারণা পাওয়া গেলো।