ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ তুললেন জাতিসংঘ কর্মকর্তা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ তুলেছেন জাতিসংঘ মানবাধিকার দফতরের মুখপাত্র রুপার্ট কলভিল। আফ্রিকা মহাদেশের কয়েকটি দেশের অভিবাসীদের নিয়ে ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে তিনি এ অভিযোগ তুলেছেন। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে অভিবাসন নিয়ে একটি চুক্তির বিষয়ে আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে আলাপকালে আফ্রিকার কয়েকটি দেশের অভিবাসীদের নিয়ে ওই মন্তব্য করেন ট্রাম্প।

ডোনাল্ড ট্রাম্পআফ্রিকার দেশগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানো অভিবাসীদের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমরা কেন নোংরা দেশগুলো থেকে আসা এই লোকদের থাকতে দিচ্ছি? হাইতির লোক কেন আমাদের এতো বেশি লাগবে? তাদের বের করে দিন।’

এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের ওই মন্তব্যকে ‘বেদনাদায়ক, লজ্জাজনক ও বর্ণবাদী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে জেনেভার জাতিসংঘ মানবাধিকার দফতর।

জাতিসংঘ মানবাধিকার দফতরের মুখপাত্র রুপার্ট কলভিল বলেন, আপনি পুরো দেশ বা মহাদেশের সব মানুষকে নোংরা বলতে পারেন না। ট্রাম্পের ওই মন্তব্যকে বর্ণবাদী ছাড়া অন্য কিছু হিসেবে বর্ণনা করা অসম্ভব।

শ্বেতাঙ্গ নয় এমন জনগোষ্ঠীকে যুক্তরাষ্ট্রে স্বাগত না জানানোর ট্রাম্পের মানসিকতার সমালোচনা করেন জাতিসংঘের এ মানবাধিকার কর্মী।

জানা গেছে, আইনপ্রণেতারা কয়েকটি দেশের নাগরিকদের বিশেষ সুরক্ষা ভিসা বহাল রাখতে ট্রাম্পকে অনুরোধ করেন। ওই অনুরোধের জবাবেই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন ট্রাম্প।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমেরিকাকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে এশীয় অভিবাসীদের অধিক ভূমিকা রয়েছে। তাই তিনি এ অঞ্চল থেকে অভিবাসী নেওয়ার পথ প্রশস্ত করতে চান। এছাড়া নরওয়ের মতো দেশগুলো থেকে বেশি করে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে আসা উচিত।

দ্য ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর অ্যাডভান্সমেন্ট অব কালার্ড পিপল অভিযোগ করেছে, ট্রাম্প বর্ণবাদ ও বিদেশি আতঙ্কের গভীর থেকে গভীরে নিমজ্জিত হচ্ছেন।

মার্কিন কংগ্রেসের একমাত্র হাইতিয়ান-আমেরিকান সদস্য, রিপাবলিকান নেতা মিয়া লাভ ট্রাম্পের মন্তব্যকে নির্দয় ও বিভেদজনক হিসেবে আখ্যায়িত করে ট্রাম্পকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

ম্যারিল্যান্ড থেকে নির্বাচিত ডেমোক্র্যাটিক পার্টির একজন আইনপ্রণেতা টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে ওই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন।

আরেক ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা সেড্রিক রিচমন্ড বলেছেন, ট্রাম্পের এই মন্তব্য আবারও প্রমাণ করেছে, তিনি আমেরিকাকে মহান নয়; বরং আবারও শ্বেতাঙ্গ করতে চান। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।