ভারতে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, মোদির ইসরায়েল-ঘেঁষা নীতির সমালোচনা





সফররত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে ভারতের বামপন্থীরা। হিন্দুস্থান টাইমস-এর খবরে বলা হয়েছে, দিল্লিতে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। (সোমবার) সিপিআই, সিপিআই(এম), সিপিআই(এমএল), এসইউসিআইসহ বিভিন্ন বামপন্থি দলের পক্ষ থেকে ইসরায়েলি নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। বিক্ষোভ শেষের সমাবেশে বামফ্রন্ট নেতারা বর্তমান সরকারের নীতিকে ইসরায়েল-ঘেঁষা আখ্যা দেন।
noname




ভারত-ইসরায়েল কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৯২ সালে। কূটনৈতিক সম্পর্কের রজত জয়ন্তীতে রবিবার ছয়দিনের ভারত সফর শুরু করেন নেতানিয়াহু। এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীরা সাম্রাজ্যবাদ ধ্বংস হোক, ফ্রি, ফ্রি প্যালেস্টাইন, নেতানিয়াহুকে স্বাগত জানানো বন্ধ করো, ফিলিস্তিনি জনতার আন্দোলনকে ‘লাল সালাম’ ইত্যাদি স্লোগানে সোচ্চার হন। তারা ইসরাইলি হামলাকারী- মুর্দাবাদ, ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলন জিন্দাবাদ, হত্যাকারী নেতানিয়াহু গো ব্যাক, ফ্যাসিস্ট নেতানিয়াহু গো ব্যাক, ফিলিস্তিনিনের রাজধানী জেরুজালেম ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করেন। দিল্লির ইন্ডিয়া গেটের কাছে ওই বিক্ষোভ মিছিলে বামফ্রন্ট নেতা ডি রাজা, প্রকাশ কারাত, অতুল কুমার আনজান উপস্থিত ছিলেন।
বামফ্রন্ট নেতা ডি রাজা বলেন, "আরব দেশ নয়- এমন দেশের মধ্যে ভারত প্রথম ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতাকে সমর্থন জানিয়েছিল। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি সরকার সেখানকার মানুষদের উপর জুলুম চালানো ইসরায়েল দেশকে নিজেদের বন্ধু করছে। সেখানকার প্রধানমন্ত্রীকে এখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কিন্তু আমরা এটা বলতে চাই যে ভারতীয় জনতা তাকে স্বাগত জানাচ্ছে না।"
আরেক বামফ্রন্ট নেতা অতুল কুমার আনজান বলেন, "ভারত ইসারাইলের অস্ত্রের সবচেয়ে বড় রফতানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে। ৪০ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা চুক্তির অর্থ ফিলিস্তিনি জনগণের নির্যাতনের কাজে ব্যবহার হচ্ছে।" সিপিআই(এম) নেতা প্রকাশ কারাতের অভিযোগ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইসরাইলি ঔপনিবেশিক নীতি সমর্থন করছেন। তিনি অভিযোগ করেন, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদি যখন ইসরাইল সফরে গিয়েছিলেন তখন তিনি ফিলিস্তিনি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি।