উ. কোরিয়ার ওপর চাপ কমাতে রাজি নয় যুক্তরাষ্ট্র

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা ও সামনের মাসে শীতকালীন অলিম্পিকে দল পাঠাতে চাইলেও উত্তর কোরিয়ার ওপর চাপ কমাতে রাজি নয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেন, উত্তর কোরিয়ার বর্তমান আচরণে মুগ্ধ না হয়ে তাদের পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধে চাপ প্রয়োগ করতে হবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

downloadপ্রতিবেদনে বলা হয়, কানাডায় ২০ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে টিলারসন বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই উত্তর কোরিয়াকে আলোচনায় বসাতে হবে।’

২০১৭ সালে তৃতীয়বারের মতো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে। গত ১১ বছরে এই সংখ্যা ১০ বার। দেশটির অর্থনীতিতে এসব নিষেধাজ্ঞার বিরূপ প্রভাব পড়ছে। তবে সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের পারমাণবিক শক্তিতে ভীত হয়ে পড়েছে। তাই তারা আমাদের দেশের ওপর কঠিন নিষেধাজ্ঞা ও চাপ সৃষ্টির জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।

তবে জাপানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো বলেন, এখন চাপ হালকা করার সময় না। তারা আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে কারণ হচ্ছে চাপ কাজ করতে শুরু করেছে। 

টিলারসন বলেন, পিয়ংইয়ংয়ের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করতে চান তারা। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনই চাপ কমাতে পারি না। আমরা আমাদের নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখবো।

জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী পরমাণু ও ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে উ. কোরিয়া। তবে দক্ষিণে থাড নামে পরিচিত উচ্চ প্রযুক্তির মিসাইল প্রতিরোধ ব্যবস্থা মোতায়েন নিয়ে ২০১৬ সালের বছরের জুলাইয়ে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চুক্তি হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে দেশটি। দ. কোরিয়ায় উচ্চতর ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার ঘোষণার বিপরীতে ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা শুরু করে উ. কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনার বিপরীতে একে তারা যোগ্য জবাব (ফিজিক্যাল রেসপন্স) বলে মনে করে। ব্যালাস্টিক মিসাইলের সর্বশেষ পরীক্ষাটি তারা চালিয়েছিল গত সেপ্টেম্বরে। ওই মাসেই তারা ষষ্ঠ পারমাণবিক পরীক্ষাও চালিয়েছে। এরপর  একাধিক আন্তঃমহাদেশীয় পারমাণবিক পরীক্ষাও চালিয়েছে তারা। মিসাইল ছুঁড়েছে জাপানের ওপর দিয়েও।