আমিরাতে আটকের পর কুয়েতের হাসপাতালে কাতারি রাজপরিবারের সদস্য

কাতারি রাজপরিবারের সদস্য শেখ আবদুল্লাহ বিন আলী আল থানিকে কুয়েতের একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এর আগে বয়োবৃদ্ধ শেখ আবদুল্লাহকে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে কুয়েতে নিয়ে আসা হয়। এর পরপরই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শেখ আবদুল্লাহর অভিযোগ আমিরাত তাকে অন্যায়ভাবে আটকে রেখেছিল।

শেখ আবদুল্লাহ বিন আলী আল থানিআমিরাত থেকে কুয়েতের পথে যাত্রা করার সময় তাকে হুইলচেয়ার ব্যবহার করতে দেখা গেছে।

শেখ আবদুল্লাহর ভাই শেখ খালিদ আল জাজিরাকে জানান, আমিরাত সরকারের নির্যাতনে কারণে তার ভাইয়ের স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছে।

কাতারি রাজপরিবারের এ প্রভাবশালী সদস্য গত ১৪ জানুয়ারি এক ভিডিও বার্তায় আমিরাতের বিরুদ্ধে তাকে আবুধাবিতে আটকে রাখার অভিযোগ তোলেন।

ওই ভিডিও বার্তায় শেখ আবদুল্লাহ বলেন, ‘শেখ মুহাম্মদের (সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট) অতিথি হিসেবে আবুধাবিতে এসেছিলাম। তবে এটিকে এখন ঠিক অতিথির মর্যাদা বলা যাচ্ছে না। এটা বরং আটকে রাখার মতো বিষয়। তারা আমাকে কোথাও যেতে নিষেধ করছে। সবাইকে জানাতে চাই আমার কিছু হয়ে গেলে তাতে কাতারের কোনও দোষ থাকবে না।’

শেখ আবদুল্লাহর ওই ভিডিও বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে এ ঘটনায় আমিরাতের ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এর মধ্যেই সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে কুয়েতে পৌঁছান শেখ আবদুল্লাহ।

উল্লেখ্য, সৌদি জোটের কাতারবিরোধী অবরোধ আরোপের সময় নিজ দেশের পক্ষে উচ্চকিত ছিলেন শেখ আবদুল্লাহ। ওই সময়ে তিনি কাতারি নাগরিকদের সৌদি আরবে হজ পালনের অনুমতি লাভে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।