ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় হামাস সদস্য নিহত

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে বুধবার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এক ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান চলাকালে তাকে হত্যা করা হয়। নিহত আহমেদ জাররার ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ২০০২ সালে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে খুন হওয়া তার বাবা নাসের জাররার ছিলেন হামাসের একজন শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার। স্থানীয় বাসিন্দা ও হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

তাৎক্ষণিকভাবে এ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত দখলদার বাহিনীর গুলির শব্দ শোনা গেছে।

২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন ফিলিস্তিনিরা। ট্রাম্পের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইন্তিফাদা বা সর্বাত্মক প্রতিরোধের ডাক দেয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। নতুন করে ইসরায়েলি বাহিনীর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয় দলটি। এর মধ্যেই ট্রাম্প আর নেতানিয়াহু’র ছবি পুড়িয়ে, আমেরিকা-ইসরায়েলের পতাকা জ্বালিয়ে দিয়ে স্লোগান তুলছেন হামাস সমর্থকরা। তারা বলছেন, ফিলিস্তিনিদের রাজধানী নির্ধারণের অধিকার আমেরিকাকে কেউ দেয়নি। আর হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, ইসরায়েল নামে কোনও দেশ নেই। তাই এর কোনও রাজধানীও থাকতে পারে না।

ইসমাইল হানিয়া বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণ বিশেষ করে পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস (জেরুজালেম) শহরকে সুরক্ষা দিতেই হামাসের জন্ম। এই পবিত্র শহর নিয়ে মার্কিন ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দুনিয়াজুড়ে যে ঐক্য তৈরি হয়েছে তা ফিলিস্তিনি জাতির জন্য একটি বিরাট বিজয়। দুনিয়ার সব মুক্তিকামী মানুষ এ বিষয়ে আমাদের পাশে রয়েছে।

হামাসকে নিয়ে অবশ্য ইসরায়েল-আমেরিকার বাইরে সৌদি জোটেরও অস্বস্তি রয়েছে। সৌদি আরবের পক্ষ থেকে ইতোপূর্বে হামাসকে সমর্থন দেওয়ার জন্য কাতারকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর জবাবে কাতারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে। কিন্তু আরব দেশগুলোর কাছে হামাস একটি বৈধ প্রতিরোধ আন্দোলন। আমরা হামাসকে সমর্থন করি না। আমরা ফিলিস্তিনি জনগণকে সমর্থন করি।’ সূত্র: রয়টার্স, এপি।