জয়নাবের সন্দেহভাজন দুই খুনি আটক

শুক্রবার নতুন করে দুই ভাইকে হেফাজতে নিয়ে পাঞ্জাব পুলিশ বলছে ছয় বছরের পাকিস্তানি শিশু জয়নাব আনসারি হত্যার ঘটনায় তারাই মূল সন্দেহভাজন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাতে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন বলছে, ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের এক সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ।

জয়নাব হত্যার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়ে পাকিস্তান। পুরনো ছবি

গত ৪ জানুয়ারি কোরআন ক্লাস শেষে বাসায় ফেরার পথে অপহৃত হয় জয়নাব। ৯ জানুয়ারি এক মাইল দূরে একটি আবর্জনার স্তুপে পাওয়া যায় তার মরদেহ। ময়না তদন্তে নিশ্চিত হওয়া যায় ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে তাকে। এক বছরের মধ্যে পাঞ্জাবের কাসুরে একই ধরণের ঘটনার শিকার ১২ তম শিশু ছিলো জয়নাব। প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে পাকিস্তান। ডিএনএ পরীক্ষার পর জানা যায়, এদের মধ্যে আটজনকে ধর্ষণে দায়ী এক ব্যক্তি। ‘সিরিয়াল কিলার’ ওই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলো পুলিশ।

ডন জানিয়েছে, ফরেনসিক পরীক্ষায় মাধ্যমে শনাক্ত হওয়া এক সন্দেহভাজন খুনি আরও ছয়টি ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত। অন্য সন্দেহভাজন হলেন তার ভাই। তারও একই ধরণের অপরাধের রেকর্ড রয়েছে।

সূত্রের বরাত দিয়ে ডন জানিয়েছে, ওই দুই ভাই কাসুরের কলেজ রোড এলাকায় ফল ও সবজি বাজারের কাছে বসবাস করেন। গত নভেম্বরে ওই এলাকায় ধর্ষণের শিকার আরেক শিশুকে পাওয়া যায়। লাহোরের শিশু হাসপাতালে ওই শিশুটি এখনও চিকিৎসাধীন।

জয়নাব হত্যার ঘটনায় ১০ জানুয়ারি যৌথ তদন্ত দল গঠিত হলে তিনশো মোবাইল ফোনের রেকর্ড সংগ্রহ করেন তারা।  সেখান থেকে আরও তদন্তের জন্য চিহ্নিত করা হয় ছয়টি নম্বর।

পুলিশের একটি সূত্র ডনকে জানিয়েছে, সন্দেহভাজন দুজনের অবস্থান শনাক্ত করতে গত তিন দিন ধরে তারা কাসুরে কাজ করছিলেন। জেলা শহরের বাইরে একটি জায়গায় লুকিয়ে থাকা অবস্থায় তাদের আটক করা হয় বলে জানায় ওই সূত্রটি।

এই মামলায় এখন পর্যন্ত এক হাজার তিনশো জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। ডিএনএ পরীক্ষার পর তাদের অনেককেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় ওই সূত্রটি।

গতকাল শুক্রবার পাঞ্জাব পুলিশের মহাপরিদর্শক আরিফ নওয়াজ খান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তদন্তকারীরা সঠিক পথেই এগুচ্ছেন।