উ. কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র : মাইক পেন্স

উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে মার্কিন নীতি পরিবর্তনের আভাস দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’কে দেওয়া এক  সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, পরমাণু প্রকল্প নিয়ে উত্তর কোরিয়ার ওপর চাপ অব্যাহত রাখবে ওয়াশিংটন। তবে একইসঙ্গে দেশটির সঙ্গে আলোচনায়ও প্রস্তুত রয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

মাইক পেন্সদক্ষিণ কোরিয়ায় শীতকালীন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে বিমানে তার এ সাক্ষাৎকার নেয় দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সরাসরি আলোচনা শুরুর বিষয়ে একমত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া।

এর আগে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করেন ব্রুনাই সফররত জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিরোধিতা সত্ত্বেও পিয়ংইয়ং তার ওই কর্মসূচির প্রতি এখনও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন উদ্বেগ নিয়েও কথা বলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ওই অঞ্চলে আমাদের মিত্ররা যতক্ষণ পর্যন্ত পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্খা ত্যাগের ব্যাপারে উত্তর কোরিয়ার অর্থবহ পদক্ষেপের বিষয়ে নিশ্চিত হতে না পারবে ততক্ষণ পর্যন্ত দেশটির ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত থাকবে। তবে তারা চাইলে যুক্তরাষ্ট্রও আলোচনার টেবিলে বসতে প্রস্তুত রয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে কী ধরনের পদক্ষেপ নিলে দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে মাইক পেন্স বলেন, ‘তা আমার জানা নেই।’

এর আগে পরমাণু কর্মসূচি থেকে নিবৃত্ত রাখতে উত্তর কোরিয়ার ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকের পর মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি থেকে নিরস্ত্র করতে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে গত ডিসেম্বরে নতুন নিষেধাজ্ঞা অরোপ করে জাতিসংঘ। ওই নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির তেল আমদানি ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে ফেলা হয়। এরপরই  দক্ষিণ কোরিয়ায় শুরু হতে যাওয়া শীতকালীন অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার আগ্রহ দেখায় উত্তর কোরিয়া। দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের পৃথক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অলিম্পিক গেমসকে কেন্দ্র করে উত্তর কোরিয়া তার ‘সফট পাওয়ারে’ সফলতা পেয়েছে।