সম্পর্ক গোপন রাখার জন্য একজন পর্নো তারকাকে কোটি টাকা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক বিবৃতিতে ট্র্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী মাইকেল ডি কোহেন ওই লেনদেনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ড্যানিয়েলের প্রকৃত নাম স্টেফানি ক্লিফোর্ড। তিনি ২০১১ সালে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা বলেছিলেন। তবে টাচ উইকলিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয় ২০১৮ সালের ১৭ জানুয়ারি।
সাক্ষাৎকারে ড্যানিয়েল দাবি করেন, ২০০৬ সালে ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০০৭ সাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল সে সম্পর্ক। ১২ জানুয়ারি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন ড্যানিয়েলকে সম্পর্কের ব্যাপারে ‘চুপ থাকার’ জন্য ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিল। কোহেন ট্রাম্পের সঙ্গে ড্যানিয়েলের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করলেও অর্থ দেওয়ার বিষয়টি শেষ পর্যন্ত চেপে রাখতে পারেননি।
এর আগে কোহেন দাবি করেছিলেন, ট্রাম্পের কোনও প্রতিষ্ঠান বা নির্বাচনি প্রচারণা থেকে ক্লিফোর্ডকে (স্টর্মি ড্যানিয়েলসের প্রকৃত নাম) কোনও রকম অর্থ দেওয়া হয়নি। তবে এবার বিষয়টি স্বীকার করেছেন তিনি। সিএনএন’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ঘটনা সত্যি না হলেও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার সুযোগ থাকে। আমি সবসময়ই ট্রাম্পকে রক্ষা করে যাবো।’
এ বছরের ৩০ জানুয়ারি ড্যানিয়েল নিজেই এক বিবৃতিতে জানান ট্রাম্পের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই তার। তবে সেখানে তার স্বাক্ষরের সঙ্গে অটোগ্রাফের মিল পাওয়া যায়নি।
এরপর থেকে ড্যানিয়েল আবার জনসমক্ষে আসতে শুর করেন। প্রায়ই তাকে ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে হয়। ট্রাম্পের স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের ভাষণের পর তিনি জিমি ক্যামেলের অনুষ্ঠানেও অংশ নেন।