রাশিয়া হস্তক্ষেপ করলেও নির্বাচনে প্রভাব পড়েনি: ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ করে আসছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। ডেমোক্র্যাটদের অভিযোগ ছিল, ট্রাম্পকে জেতানোর জন্য কাজ করেছে রাশিয়া । এতোদিন নির্বাচনে জয়ী হওয়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এসব অভিযোগকে কখনও ‘ভুয়া খবর’, কখনও ‘ধাপ্পাবাজি’ বা কখনও ‘ডাইনি খোঁজা’ বলে মন্তব্য করে এসেছেন। তবে রবার্ট মুলারের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটি ১৩ রুশ নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর সুর পাল্টেছেন তিনি। এখন বলছেন, রাশিয়া হস্তক্ষেপ করলেও তা নির্বাচনে প্রভাব ফেলেনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগে রাশিয়ার ১৩ নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। এছাড়া তিনটি রুশ কোম্পানির বিরুদ্ধেও হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগের প্রধান তদন্তকারী ও এফবিআই’র সাবেক পরিচালক রবার্ট মুলার অভিযুক্তদের নাম ঘোষণা করেন।

এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর ট্রাম্প স্বীকার করেন, রাশিয়া কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে। তার প্রচারাভিযান দলের সঙ্গে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের উদ্যোগের কোনও আঁতাত ছিল না।

টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট নির্বাচলে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার অনেক আগে, ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তবে নির্বাচনের ফলাফলে তার কোনও প্রভাব পড়েনি। ট্রাম্পের প্রচার টিম  কোনও অন্যায় করেনি। কোনও আঁতাত করেনি!’

নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ ও হ্যাকিংয়ের ঘটনার পর অভিযোগ ওঠে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ক্ষতি করার এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাবমূর্তি বড় করার চেষ্টা করে রাশিয়া। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে হিলারি ক্লিনটনের ই-মেইল হ্যাক করে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে এফবিআই’র সাবেক পরিচালক রবার্ট মুলারের নেতৃত্বে তদন্ত শুরু হয়। দীর্ঘদিন তদন্তের পর এই অভিযোগপত্র প্রকাশ করা হলো।