উ. কোরিয়ার ওপর ‘সবচেয়ে বড় নিষেধাজ্ঞা’র পথে যুক্তরাষ্ট্র

উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ওপর চাপ বাড়াতে এই নিষেধাজ্ঞা আসছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন অর্থ বিভাগের একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স বলছে, নিষেধাজ্ঞাটি হবে উ. কোয়ীয় শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে সবথেকে বড় নিষেধাজ্ঞা।
noname

পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি থেকে নিরস্ত্র করতে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে গত ডিসেম্বরে নতুন নিষেধাজ্ঞা অরোপ করে জাতিসংঘ। ওই নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির তেল আমদানি ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে ফেলা হয়। এরপরই দক্ষিণ কোরিয়ায় শুরু হতে যাওয়া শীতকালীন অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার আগ্রহ দেখায় উত্তর কোরিয়া।

ট্রাম্প প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, শুক্রবার মার্কিন অর্থ বিভাগ নিষেধাজ্ঞার বিস্তারিত জানাবে। এর আগে শুক্রবার সকালে কনজারভেটিভ পলিটিকাল কনফারেন্সেও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কথা বলতে পারেন। নতুন এ নিষেধাজ্ঞাকে 'উত্তর কোরিয়ার শাসনব্যবস্থার ওপর সবচেয়ে বড় নিষেধাজ্ঞা' অ্যাখ্যা দিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাম্প প্রশাসনের ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।

কি ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা হয়েছে, তা জানা যায়নি।

দুই সপ্তাহ আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় শীতকালীন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন শেষে থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার পথে জাপানের টোকিওতে দেওয়া বক্তৃতায় ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সও উত্তর কোরিয়ায় নতুন নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া ভাষণে বলেন, নিষেধাজ্ঞা উত্তর কোরিয়ার ওপর কার্যকর প্রভাব রাখছে। তার দাবি, এর ফলে ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে ব্যয় করার মতো অর্থ পিয়ংইয়ংয়ের থাকছে না। উত্তর কোরিয়া তাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার স্বার্থেই শীতকালীন অলিম্পিকে অংশ নিয়েছে বলেও দাবি তার।