আবারও জঙ্গি অর্থায়নের ওয়াচলিস্টে পাকিস্তান, অর্থনীতিতে অশনি সংকেত

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংগঠন ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স। ইসলামাবাদকে ‘ধূসর তালিকা’য় রেখেছে তারা। এর ফলে পাকিস্তানের বিনিয়োগ ও ঋণ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ায় অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।  মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর সহযোগী ভারতীয় মাধ্যম নিউজ এইটিন, এবং দ্য হিন্দুর খবর থেকে এসব কথা জানা গেছে।এর আগে ২০১২ সালে এফএটিএফ তালিকাভুক্ত হয়েছিল পাকিস্তান। প্রায় তিন বছর সে তালিকায় থাকে তারা।

পাকিস্তান

 

ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স-এফএটিএফ হলো একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন, যারা জঙ্গি অর্থায়ন ও অর্থ পাচারের বিষয় পর্যবেক্ষণ করে থাকে। ওই দুই ধারার অর্থায়নকে চিহ্নিত করতে এফএটিএফ-এর ‘ধূসর’ ও ‘কালো’ নামে দুটি তালিকা রয়েছে। যারা সন্ত্রাসবাদ ও অর্থ পাচার রোধে এখনও যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারেনি, তারা ধূসর তালিকায় স্থান পায়। আর যারা এসবের বিরুদ্ধে কোনও ভূমিকা নেয় না তাদের স্থান হয় কালো তালিকায়। নিউজ এইটিন ও দ্য হিন্দুর খবরে বলা হয়, পাকিস্তানকে ‘ধূসর তালিকায়’ রাখার প্রস্তাবটি উত্থাপিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে। এতে সমর্থন দেয় যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং ভারত। ৩৬-১ ভোটে পাকিস্তানকে তালিকাভূক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। 
এফটিএএফ কেবলই একটি পর্যবেক্ষক গ্রুপ। কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপের এখতিয়ার নেই তাদের। তবে এই পর্যবেক্ষক গ্রুপটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মতামত নির্ধারণে খুবই প্রভাবশালী ভূমিকা রাখে। এরফলে  তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকা দেশগুলোর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ভয়াবহ নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হয়। নিউজ এইটিন জানিয়েছে, টাক্সফোর্সের সিদ্ধান্তে পাকিস্তানে বিদেশি বিনিয়োগ ও বিদেশে পাকিস্তানের বিনিয়োগ প্রায় অসম্ভব হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পাকিস্তানের পক্ষে বিদেশ থেকে ঋণ সহায়তা সংক্রান্ত লেনদেনও কঠিন হয়ে পড়বে।  চলতি বছরের জুনের মধ্যে পাকিস্তানকে ৩০০ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হবে। তবে ‘ধূসর তালিকায়’ স্থান পাওয়ায় এই ঋণ পরিশোধের পথও কঠিন হয়ে পড়েছে।