‘ট্রাম্পের পরিকল্পনা ইসরায়েল বা ফিলিস্তিনের কেউই পছন্দ করবে না’

ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত শান্তি পরিকল্পনা প্রণয়নের শেষ পর্যায়ে রয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। বৃহস্পতিবার ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো’র ইনস্টিটিউশন অব পলিটিক্সে দেওয়া বক্তব্যে এ বিষয়ে কথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত নিকি হ্যালি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইসরায়েল বা ফিলিস্তিন-কোনও পক্ষই এই পরিকল্পনা পছন্দ করবে না। আবার কোনও পক্ষই একে অপছন্দও করবে না। তবে এর মধ্য দিয়ে আলোচনা শুরু হবে।

nonameনিকি হ্যালি বলেন, ওই পরিকল্পনা এখনও প্রণয়ন করা হচ্ছে। তবে এটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। প্রেসিডেন্টের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দুই প্রধান দূত তার জামাতা জ্যারেড কুশনার ও উপদেষ্টা জ্যাসন গ্রীনব্লাট এটি নিয়ে কাজ করছেন।

জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণার ট্রাম্প প্রশাসনের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের বিষয়ে নিকি হ্যালির কাছে জানতে চান সাবেক ওবামা প্রশাসনের সিনিয়র উপদেষ্টা ডেভিড অ্যাক্সেলরোড। উত্তরে হ্যলি বলেন, কংগ্রেস ভোটের মাধ্যমে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দিয়েছে। সেখানে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের পক্ষে মতামত দিয়েছে।

ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দুই প্রধান দূত তার জামাতা জ্যারেড কুশনার ও উপদেষ্টা জ্যাসন গ্রীনব্লাট জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে আসন্ন শান্তি পরিকল্পনার প্রতি অন্য দেশগুলোকে সমর্থন জানানোর আহ্বানের এক দিনের মধ্যেই এ ইস্যুতে কথা বললেন নিকি হ্যালি।

এ অঞ্চলে সমাধানের প্রক্রিয়া কী হবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে নিকি হ্যালি বলেন, আমার পক্ষে এটা বলা কঠিন তারা এটা কিভাবে চায়। এটা তাদের সিদ্ধান্ত। তারা যদি দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের সিদ্ধান্তে আসে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাতে সমর্থন দেবে। তারা যদি নির্দিষ্ট সীমানার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাতেই সমর্থন জানাবে।

তিনি বলেন, আমার মনে হয় তারা দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান খুঁজছেন। তারা যে সিদ্ধান্ত নেবেন তার প্রতি আমাদের সমর্থন থাকবে।

জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত বলেন, আমি আশাবাদী। ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি নাগরিকরা আরও ভালো কিছু পাওয়ার অধিকার রাখে। এখন তারা সংঘাতের মধ্যে রয়েছে। এটা কোনও ভালো অবস্থা নয়। নেতারা যদি তাদের গর্ব ও অহংকার ত্যাগ করে জনগণের কথা ভাবেন, মানুষের জীবন মান উন্নয়নের কথা চিন্তা করেন তাহলে এই শান্তি প্রক্রিয়া সেই কাজটিই করবে। সূত্র: হারেৎজ।