জন কেরির মতো বাজে আলোচক আর হয় না: ট্রাম্প

ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর পরমাণু সমঝোতার ঘটনায় সাবেক ওবামা প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিকে এক হাত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা স্বাক্ষর করা ছিল আমেরিকার জন্য একটি বিপর্যয়। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ছিলেন ‘সম্ভবত আমার দেখা সবচেয়ে বাজে আলোচক’। শুক্রবার নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির বার্ষিক পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন ট্রাম্প। ডোনাল্ড ট্রাম্প
ওবামা প্রশাসনের করা ওই ‘একতরফা সমঝোতা’কে বর্তমান মার্কিন প্রশাসন অনুমোদন দেয়নি বলেও উল্লেখ করেন ট্রাম্প।

ইরানের ওই চুক্তির বাইরে জলবায়ু চুক্তিও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘বিপর্যয়কর’ বলে মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। 

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, এ নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটরা বিজয়ী হলে আয়কর আইনে পরিবর্তন আনবে। তারা নাগরিকদের অস্ত্র হাতে রাখার আইন বাতিল করে দেবে।

ম্যারিল্যান্ডে দেওয়া ভাষণে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন ট্রাম্প। দেশটির বিরুদ্ধে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেন তিনি।

ট্রাম্প বলেন, আজ আমি ঘোষণা দিচ্ছি উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে আমরা এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছি। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে ৫৬টি জাহাজ ও নৌ পরিবহন কোম্পানি।

উত্তর কোরিয়ার এরইমধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দেশটির পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় উত্তর কোরিয়ার রাজস্ব ও জ্বালানির উৎস কমিয়ে আনার জন্য শিগগিরই নতুন পদক্ষেপ নেবে। এর লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে ৫৬টি জাহাজ, নৌযান কোম্পানি ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, যারা নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করছে।

২০০৮ সাল থেকেই উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। সর্বশেষ ২০১৭ সালের নভেম্বরে বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ওই বছরের ডিসেম্বরেই জাতিসংঘ দেশটির বিরুদ্ধে একই ধরনের পদক্ষেপ নেয়। এর মধ্যদিয়ে উত্তর কোরিয়ার পেট্রোল আমদানি ৯০ শতাংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

সূত্র: দ্য ওয়াশিংটন টাইমস, পার্স টুডে।