তুর্কি প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইয়েলদ্রিম বলেছেন, দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় আফরিন সীমান্ত ঘিরে ফেলেছে তুরস্কের সেনাবাহিনী। সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় সন্ত্রাসীদের সব আস্তানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবার কোনিয়ায় তুরস্কের ক্ষমতাসীন দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির প্রাদেশিক সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সীমান্ত নিরাপত্তা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তার বিরুদ্ধে যে কোনও হুমকি মোকাবিলা করবে তুরস্ক।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেখানেই সন্ত্রাসের হুমকি রয়েছে, সেটিই আমাদের লক্ষ্যবস্তু। আজ আফরিন; কাল হয়তো অন্য কোনও স্থান।
২০১৮ সালের ২০ জানুয়ারি সিরিয়ার আফরিন ছিটমহলে কুর্দি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে তুরস্ক। এর নাম দেওয়া হয় অপারেশন অলিভ ব্রাঞ্চ।
সিরিয়ায় কুর্দি বিদ্রোহীদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক যুক্তরাষ্ট্র। আফরিনে তুর্কি অভিযান শুরুর পর তুরস্কের মার্কিন দূতাবাসের সামনের সড়কের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় অলিভ ব্রাঞ্চ রোড।
সম্প্রতি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেছেন, তার দেশ সিরিয়ায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।
তিনি বলেন, জারাবুলুস ও আল বাবের মতো আফরিন, ইদলিব ও মানবিজেও আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাবো। আমরা চাই আমাদের সিরীয় ভাই ও বোনেরা যেন তাদের নিজেদের ঘরবাড়িতে ফিরতে পারেন।
উল্লেখ্য, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সমর্থনে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ নিচ্ছে রাশিয়া। আসাদ সরকারের সমর্থনে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়ারাও। আর কুর্দি অধ্যুষিত আফরিনে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে তুরস্ক। আঙ্কারা বলছে, তারা শহরটিকে সন্ত্রাসীদের করিডোর হিসেবে ব্যবহৃত হতে দেবে না। আর তা নিশ্চিত করতেই হামলা চালানো হয়েছে।
তুর্কি বাহিনীর এই অভিযানে সিরিয়ার জটিল রাজনৈতিক ও সামরিক সমীকরণ আরও বেশি জটিল হয়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র কুর্দি ওয়াইপিজি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে এই হামলা ট্রাম্প প্রশাসনকে ন্যাটোভুক্ত তুরস্কের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। ওয়াইপিজি’কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে তুরস্ক। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি, ইয়েনি সাফাক।