‘লোকজন আগুনে ঝলসে যাচ্ছিলো, চিৎকার করছিলো’

সোমবার (১২ মার্চ) বন্ধুসহ ইউএস বাংলার বিমানে করে নেপাল যাচ্ছিলেন ২৯ বছর বয়সী বাংলাদেশি শিক্ষক শাহরিন আহমেদ। অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাদেরকে বহনকারী। নিজে প্রাণে বেঁচে গেলেও বন্ধুকে হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। দেখেছেন আগুনে ঝলসে যেতে।

বিমান বিধ্বস্তের এলাকা
কাঠমান্ডু মেডিক্যাল কলেজ টিচিং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন শাহরিন। কান্নাভেজা চোখে নেপালি সংবাদমাধ্যম নেপালি টাইমসকে বলেন, ‘আমি আমার বন্ধুর সঙ্গে বিমানে ছিলাম। বিমানটি যখন অবতরণ করতে গেলো তখন এটি বামদিকে মোড় নিতে শুরু করে। লোকজন চিৎকার করতে লাগলো। আমরা পেছনে তাকিয়ে দেখলাম বিমানে আগুন ধরে গেছে। আমার বন্ধু আমাকে বললো তার আগে আগে দৌড়াতে। কিন্তু যখন আমরা দৌড়াতে লাগলাম আগুনের শিখা তাকে ঘিরে ফেললো। ও পড়ে গেলো। লোকজন আগুনে ঝলসে যাচ্ছিলো, চিৎকার করছিলো আর পড়ে যাচ্ছিলো। তিন ব্যক্তি জ্বলন্ত বিমান থেকে লাফিয়ে পড়লো। খুব ভয়াবহ ছিল এ দৃশ্য। ভাগ্যক্রমে কেউ একজন আমাকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসে।’ 

শাহরিন আহমেদ বিবিসি নেপালির সঙ্গেও কথা বলেছেন। বিবিসিকে তিনি বলেন ‘বাইরে প্রচণ্ডরকমের আগুন ছিল এবং আমাদের কেবিন ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়লো। এরপর সেখানে একটি বিস্ফোরণ হয়। পরে আগুন নিভিয়ে উদ্ধার করা হয় আমাদেরকে।’

উল্লেখ্য, ১২ মার্চ, ৭১ আরোহী নিয়ে নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় এপর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে দুর্ঘটনার ঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি।