রাশিয়ার ২৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের

রাশিয়ার ২৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এদের মধ্যে ১৯ জন রুশ নাগরিক ছাড়াও মস্কোর গোয়েন্দা বিভাগসহ পাঁচটি সংস্থার নাম রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে গত মাসে রাশিয়া বিষয়ক তদন্তের বিশেষ কর্মকর্তা রবার্ট মুলারের অভিযুক্ত ১৩ জনের নামও রয়েছে। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ও সাইবার হামলার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

nonameনিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ১৯ জনের মধ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীও রয়েছেন।

এক বিবৃতিতে ট্রেজারি সেক্রেটারি স্টিভেন মনচিন জানান, রাশিয়ার নাগরিকরা ধ্বংসাত্মক সাইবার হামলা অভিযুক্ত হয়েছেন। এই নিষেধাজ্ঞা রুশ আঘাত মোকাবিলার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ।

পক্ষত্যাগী এক রুশ গোয়েন্দার ওপর লন্ডনে রাসায়নিক হামলার দায়ে যুক্তরাজ্যে নিয়োজিত ২৩ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কারের রেশ না কাটতেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নিলো যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে বুধবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে দেওয়া বক্তব্যে ২৩ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ওই হামলার ঘটনায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দায়ী করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য এ ঘটনাকে হুমকি হিসেবেই বিবেচনা করছে। তারা (রাশিয়া) কোনও যুক্তি দেখাতে না পারে তাহলে একে রাষ্ট্রদ্রোহী তৎপরতা হিসেবে দেখা হবে।

একই ইস্যুতে রাশিয়ার কঠোর সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি সতর্ক করে বলেছেন, এ ঘটনায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে না পারলে রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগে হত্যাচেষ্টায় দেশটির পরবর্তী টার্গেট হতে পারে নিউ ইয়র্ক। বুধবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি অধিবেশনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাসায়নিক প্রয়োগে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে বাস্তবসম্মত ব্যবস্থা নিতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান নিকি হ্যালি। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে বিশ্বনেতারা ব্যর্থ হলে রাসায়নিক অস্ত্রের প্রয়োগ কেবল যুক্তরাজ্যের সলসবেরিতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। নিউ ইয়র্ক কিংবা নিরাপত্তা পরিষদের যে কোনও সদস্য দেশের যে কোনও নগরীতে এই অস্ত্র প্রয়োগ করা হতে পারে।