'সিরিয়ায় এককভাবে হস্তক্ষেপে সক্ষম ফ্রান্স'

এককভাবে কিংবা মার্কিন মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে সিরিয়ায় হস্তক্ষেপে সক্ষম ফ্রান্সের সেনাবাহিনী। এজন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ফ্রান্সের রয়েছে। শুক্রবার ফরাসি রেডিও স্টেশন ইউরোপ ওয়ানের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেছেন ফরাসি সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল ফ্রাঙ্কোয়েস লেকয়েনট্রে।

nonameএর আগে গত সোমবার প্রায় একই ধরনের মন্তব্য করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ফরাসি সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ বলেন, আমাদের সক্ষমতা সম্পর্কে জানা না থাকলে তিনি এমন মন্তব্য করতেন না।

সিরিয়ায় মার্কিন মিত্রদের সঙ্গে ফ্রান্স সহায়তা করবে কিনা? এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ। অবশ্যই। নিঃসন্দেহে আমেরিকানদের সঙ্গে আমাদের সংযোগ থাকবে।

তিনি বলেন, ‘ফ্রান্সের এককভাবে হস্তক্ষেপের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত মিত্রদের সঙ্গে সংহতি প্রদর্শন করতে হবে। সিরিয়া ইস্যুতে আমাদের অবস্থান একই।’

এর আগে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত বাহিনীর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেলে দেশটিতে সামরিক অভিযান চালাবে ফ্রান্স। গত ফেব্রুয়ারিতে ফরাসি প্রেসিডেন্টের দফতর ইলিসি প্যালেসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। সর্বশেষ গত সোমবারও তিনি প্রায় একই ভাষায় কথা বলেন।

ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর আসাদ সরকারের রাসায়নিক হামলার প্রমাণ মিললে দেশটিতে সামরিক অভিযান চালাতে ফরাসি বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হবে।

বেসামরিক নাগরিকদের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারকে রেড লাইন হিসেবে আখ্যায়িত করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।

ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ফ্রান্সের নিরাপত্তা বাহিনীগুলো এখনও পর্যন্ত সিরিয়ায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের কোনও প্রমাণ পায়নি। তবে তারা বিষয়টির দিকে তীক্ষ্ম নজর রাখছে।

ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার পেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপেও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে নিবৃত্ত করতে মস্কোর প্রতি আহ্বান জানান ফরাসি প্রেসিডেন্ট।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া ও ইরানের সহযোগিতায় বিদ্রোহী অধ্যুষিত অবরুদ্ধ এলাকাগুলোতে হামলা চালাচ্ছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত বাহিনী।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের মার্চে সিরিয়ার আসাদবিরোধী আন্দোলন গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। এতে এ পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি।