ট্রাম্পের সঙ্গে 'কথোপকথনের নথি রেখে দিয়েছিলেন' বরখাস্তকৃত ম্যাককাবে

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হওয়া কথোপকথনের রেকর্ড নিজের কাছে থাকার দাবি করেছেন সদ্য বরখাস্তকৃত এফবিআই উপ-পরিচালক অ্যান্ড্রু ম্যাককাবে। এরইমধ্যে তদন্তে নিয়োজিত স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুলারের কাছে তদন্তের একটি নথি জমা দিয়েছেন তিনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে ট্রাম্প বিচারকার্যকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছেন বলে যে অভিযোগ উঠেছে তার পক্ষে এ নথিগুলো কাজে লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

ম্যাককাবে
সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের ই-মেইল কেলেঙ্কারি ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ সংযোগের তদন্তের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। পেনশন সুবিধাসহ অবসরে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা এ এফবিআই কর্মকর্তা শুক্রবার (১৬ মার্চ) তার ৫০তম জন্মদিনের মাত্র দুই দিন আগে বরখাস্ত হন। ম্যাককাবের দাবি, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাবেক এফবিআই পরিচালক জেমস কোমির করা অভিযোগকে সমর্থন করায় তার এমন পরিণতি হয়েছে। জেমস কোমি দাবি করেছিলেন, ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ট্রাম্প তাকে চাপ দিচ্ছেন। কোমিও কংগ্রেসকে বলেছিলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে তার কথোপকথনের লিখিত রেকর্ড তার কাছে রেখে দিয়েছেন। আর শনিবার (১৭ মার্চ) ম্যাককাবে দাবি করেন, ট্রাম্প এবং এফবিআই পরিচালকের সঙ্গে তার কথোপকথনের রেকর্ড রেখে দিয়েছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এসব নথি গত মে মাসে বরখাস্ত হওয়ার সময় কোমির দেওয়া জবানবন্দিকে দৃঢ় করবে। কোমিদাবি করেছিলেন, ট্রাম্প তাকে ‘আনুগত্য’ স্বীকার করতে বলেছেন এবং সাবেক জাতীয় উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।

ম্যাককাবে বলেন, ‘জেমস কোমিকে বরখাস্ত করার পর আমি যে ভূমিকা পালন করেছিলাম, যে ব্যবস্থা নিয়েছিলাম এবং যেসব ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছিলাম তার জন্য আমার সঙ্গে এভাবে আচরণ করা হলো।’

উল্লেখ্য, মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রচারণা কর্মকর্তা ও রাশিয়ার মধ্যে সংযোগ থাকার অভিযোগটির তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুলার। তিনি নিজেও সাবেক এফবিআই পরিচালক। ট্রাম্প বরাবরই তার বিরুদ্ধে ওঠা রুশ সংযোগের অভিযোগ নাকচ করে আসছেন। শনিবার ট্রাম্পের আইনজীবীও বলেছেন, স্পেশাল কাউন্সেলের তদন্তে ইতি টানার সময় এসেছে।