পাকিস্তানের কাছে শক্তিশালী অস্ত্র প্রযুক্তি বিক্রি চীনের

চীনের কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও মাল্টি ওয়ারহেড মিসাইল তৈরির জন্য উন্নত ট্র্যাকিং ব্যবস্থার প্রযুক্তি কিনেছে পাকিস্তান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চীনের সাইন্স একাডেমি। এক বিবৃতিতে দেশটির একাডেমি অব সাইন্স জানায়, পাকিস্তানে এমন অস্ত্র সরবরাহ করা প্রথম দেশ চীন।

eea0e2a6-29ab-11e8-b567-adb1113855b0_1280x720_175724

চীনা সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের কাছে চীন এমন একটি শক্তিশালী ট্র্যাকিং সিস্টেম বিক্রি করেছে যা মাল্টি ওয়ারহেড মিসাইল তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।  চায়না সাইন্স একাডেমির ইনস্টিটিউট অব অপটিকস এন্ড ইলেকট্রনিকস এর গবেষক জেং মেংওয়ে বলেন, পাকিস্তান চীনের কাছ থেকে খুবই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ট্র্যাকিং ও মেজারমেন্ট সিস্টেম কিনেছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীও সম্প্রতি চীনা এই সিস্টেম নতুন মিসাইল তৈরিতে পরীক্ষা করেছে।

ভারতের আন্তঃমহাদেশীয় পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার দু্ই মাসের মধ্যেই এই ঘটনায় সামনে চলে এসেছে চিরবৈরী ভারত-পাকিস্তানের অস্ত্র প্রতিযোগিতা ও শক্তি প্রদর্শনের বিষয়টিও। দুই মাস আগেই ভারত এমন এক আন্তঃমহাদেশীয় পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছিল যা চীনে আঘাত আনতে সক্ষম। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত ও পাকিস্তান তাদের অস্ত্র সক্ষমতার লড়াইয়ে প্রায়ই পরস্পরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামে। ১৮ জানুয়ারি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র অগ্নি-৫ পরীক্ষা করে ভারত। পাঁচ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দেয় ক্ষেপণাস্ত্রটি। একে চীনের বিপক্ষে নিজের শক্তিমত্তার প্রদর্শন হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

ভারতের সিঙ্গেল-ওয়ারহেড ক্ষেপণাস্ত্রটি অনেক বেশি পথ অতিক্রম করতে সক্ষম হলেও পাকিস্তান চেষ্টা করছে একাধিক লক্ষ্যে হামলার প্রযুক্তি ব্যবহারের। ‘মাল্টিপল ইন্ডিপেন্ডেন্টলি টার্গেটেবল রি-এন্ট্রি ভেহিকেল-এমআইআরভি’ নামের এই গাড়িগুলো একসঙ্গে বিভিন্ন স্থানে পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোয় সক্ষম। 

২০১৭ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথমবারের মতো এই পরীক্ষা করে পাকিস্তান। মার্চে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থাও। যদিও আবাবিল নামে ওই ক্ষেপণাস্ত্র সীমা মাত্র ২২০০ কিলোমিটার। তারপরও এটি বিভিন্ন স্থানে আঘাত আনতে সক্ষম। এছাড়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকেও ফাঁকি দিতে সক্ষম এই প্রযুক্তি। আশঙ্কা করা হচ্ছে এই প্রযুক্তির কারণে এই অঞ্চলে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান শক্তি প্রদর্শনের ফলে সৃ্ষ্ট অস্থিতিশীলতা আরও বাড়িয়ে তুলবে।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট দাবি করে, ভারত এখনও এমন কোনও প্রযুক্তি তৈরি করতে পারেনি যার মাধ্যমে একাধিক পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ বা প্রতিহত করা যায়।