সৌদি-মার্কিন অস্ত্র চুক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার যুদ্ধবিরোধী সংগঠন

সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বিশাল অঙ্কের অস্ত্রচুক্তির কারণে যুদ্ধবিরোধী সংগঠনগুলোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাদের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের বিক্রি করা অস্ত্রেই ইয়েমেন সামরিক অভিযান চালাচ্ছে সৌদি জোট। প্রাণ হারাচ্ছে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ।

trump-saudi

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট এর এক প্রতিবেদন বলা হয়, সম্প্রতি সৌদি আরবের সঙ্গে ১২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্রচুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই চুক্তি নিয়েই সরব হয়ে উঠেছে শান্তির পক্ষে লড়াই করা সংগঠনগুলো।মানবাধিকার সংগঠনগুলো সৌদি আরবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের আলামত পেলেও দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছেন ট্রাম্প। ট্রাম্প অবশ্য সৌদির সঙ্গে সম্পর্ককে ‘দারুণ বন্ধুত্ব’ বলে উল্লেখ করেছেন।

হোয়াইট হাউসে চুক্তির ঘোষণা অনুষ্ঠানে সৌদি যুবরাজকে স্বাগত জানানোর সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘অস্ত্র ব্যবসায় সৌদি আরবের অনেক মানুষ কাজ করে।’ তিনি বলেন, ‘ওবামা প্রশাসনের সময় সৌদি-মার্কিন সম্পর্ক ভালো ছিল না। কিন্তু এখন সেটা দারুণ।’ এসময় একটি ছবির কোলাজ তুলে ধরেন ট্রাম্প যেখানে লেখা ছিল ’১২.৫ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি নিশ্চিত সৌদি আরবে।’ ট্যাংক ও হেলিকপ্টার সহ অনেক সামরিক অস্ত্র ও সরঞ্জামের ছবি ছিল সেখানে। এর মধ্যে ৫২৫ মিলিয়ন ডলারের এক অংশ নিয়ে যুবরাজকে উদ্দেশ্য করে ট্রাম্প বলেন, ‘এটা তোমার কাছে কিছুই না।’

যুবরাজ মোহাম্মদও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই সম্পর্কের প্রশংসা করে বলেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ৪০০ বিলিয়ন ডলারের ‍চুক্তির কথা চিন্তাভাবনা করছেন।

তবে কোনও নেতাই ইয়েমেন যুদ্ধের কথা উল্লেখ করেননি। ‍যুদ্ধবিরোধী সংগঠনগুলোর অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের অস্ত্র বিক্রির কারণে ইয়েমেন যুদ্ধ সহিংসতা ত্বরান্বিত হচ্ছে।

পারমাণবিক চুক্তি ও সহিংসতা নিয়ে কাজ করা সংগঠন প্লাউশেয়ারস ফান্ডের প্রেসিডেন্ট জোসেফ সিরিসিওন বলেন, `এটা খুবই দুঃখজনক যে অস্ত্র বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থলাভের আশায় ইয়েমেনের হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিককে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্প যুদ্ধ বাঁধিয়ে দিয়ে হাসছেন।’

যু্ক্তরাজ্যভিত্তিক সংগঠন ক্যাম্পেইন এগেইন্সট আর্মস ট্রেড এর অ্যান্ড্রু স্মিথ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কেনা অস্ত্রের মাধ্যমে নিপীড়ন চালাতে পারে সৌদি আরব। তিনি বলেন, ‘বারবার আবেদন করা হলেও সৌদি আরব মার্কিন প্রেসিডেন্টর সমর্থন পান। আর ট্রাম্পও এই লজ্জাজনক ইতিহাস পুনরাবৃত্তি করবেন।’

এদিকে কংগ্রেসনাল ফ্রন্টে ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রে সংযুক্তি নিয়ে ভোটাভুটি হতে পারে।