ক্যামব্রিজ অ্যানালেটিকার কার্যালয়ে তল্লাশি

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ক্যামব্রিজ অ্যানালেটিকার সদর দফতরে তল্লাশি চালিয়েছেন দেশটির তথ্য কমিশনারের ১৮ জন কর্মকর্তা। ফেসবুক থেকে লাখ লাখ গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরির অভিযোগের বিষয়টি পর্যবেক্ষণের জন্য উচ্চ আদালত পরোয়ানা জারির পর এই অভিযান চালানো হয়। রাজনৈতিক প্রচারণায় বৃহত্তর তদন্তের অংশ হিসেবে এই তল্লাশি চালানো হয়েছে। তবে ক্যামব্রিজ অ্যানানেলেটিকা ও ফেসবুক উভয়ই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

_100549248_ico

ক্যামব্রিজ অ্যানালেটিকার ভারপ্রাপ্ত প্রধান আলেক্সাজান্ডার টেইলার বলেন, তার প্রতিষ্ঠান ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে তথ্য কমিশনারের কার্যালয়ের (আইসিও) সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। প্রতিষ্ঠানটি এই তদন্তে পুরোপুরি সহায়তা করে যাবে।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ২০১৫ সালে চেক করে দেখা গেছে, ফেসবুকের সব তথ্য মুছে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি এখন তৃতীয় পাক্ষিক কাউকে দিয়ে নিরীক্ষা করে নিজেদের বৈধতা যাচাই করতে চাচ্ছে।

আইসিও ক্যামব্রিজ অ্যানালেটিকার ডাটাবেজ ও সার্ভারে ঢোকার প্রবেশাধিকারের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিল। তথ্য কমিশনার এলিজাবেথ দেনহাম বলেছেন, তিনি খুঁজে দেখেছেন কোনও ব্যক্তিগত তথ্য অবৈধপন্থায় সংগ্রহ করা হয়েছে কিনা। অথবা তথ্য ভাগাভাগির মতো কোনও উপাদান বা এগুলোকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য কী ব্যবহার করা হচ্ছে এবং ফেসবুক তাদের তথ্য চুরির পর কোনও জোর তৎপরতা চালিয়েছিল কিনা তা যাচাই করেছেন।

সম্প্রতি ক্যামব্রিজ অ্যানালেটিকার বিরুদ্ধে ৫ কোটির বেশি ফেসবুক প্রোফাইল থেকে তথ্য নিয়ে তার অপব্যবহার করার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ উত্থাপনকারী ক্রিস ওইলি দাবি করেন, প্রায় ৫ কোটি ফেসবুক প্রোফাইল ঘেঁটে তথ্য সংগ্রহ করেছে ক্যামব্রিজ অ্যনালেটিকা। এসব প্রোফাইলের মধ্যে বেশিরভাগই মার্কিন নাগরিকদের প্রোফাইল। এটি ফেসবুকের অন্যতম বড় তথ্য ফাঁসের ঘটনা। এর মাধ্যমে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের হেয় করা হয়েছে।