বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদের আরও ১৪ বছরের কারাদণ্ড

পশুখাদ্য ক্রয় দুর্নীতির চতুর্থ মামলায় ভারতের বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবকে আরও ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। শনিবার বিশেষ সিবিআই আদালতে তাকে ৬০ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়। ১৯৯০ এর দশকে  বিহারের দুমকা তহবিল থেকে ৩ কোটি ১৩ লাখ রুপি আত্মসাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এসব মামলা দায়ের করা হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর জানিয়েছে।

বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব

১৯৯০ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত অবিভক্ত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন লালু প্রসাদ যাদব। ওই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অর্থ ব্যয় করে পশু খাদ্য ক্রয় করার নামে ৯৭০ কোটি রুপি আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বুধবার রায় ঘোষণা করা মামলায় তার বিরুদ্ধে ১৯৯২-৯৩ সালে সাত লাখ দশ হাজার রুপি বরাদ্দের বিপরীতে ৩৩ কোটি ৬৭ লাখ রুপি আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। তাকে এই ষড়যন্ত্রের মূল কুশিলব হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সিবিআই)। গত জানুয়ারি মাসেও একই ঘটনার আরেক মামলায় লালু প্রসাদের ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।  

সিবিআই কৌঁসুলি রাকেশ প্রসাদের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, সিবিআই বিচারক শিভ পাল সিং এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ভারতীয় দণ্ডবিধি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে তাকে আলাদা ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ধারাবাহিকভাবে এসব সাজা কার্যকর হবে বলেও রায় দেন বিচারক।

আদালতের সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অ্যাডভোকেট বিষ্ণু শর্মা বলেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির কয়েকটি ধারায় লালু প্রসাদকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের আওতায় তাকে আরও ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একটি সাজা শেষ হওয়ার পর আরেকটি শুরু হবে।

২০১৩ সালের ডিসেম্বরে লালুর বিরেুদ্ধে পশু খাদ্য ক্রয় সংক্রান্ত ৫টি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলার ৩৪ আসামির মধ্যে ১১ জন বিচার চলাকালে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে একজন দোষ স্বীকার করেছিলেন। দোষী সাব্যস্ত ১৬ জনের মধ্যে ফুলচাঁদ মণ্ডল, বিক জুলিয়াস ও মহেশ প্রসাদ নামে ভারতীয় প্রশাসনের তিন কর্মকর্তাও রয়েছেন।